অবশেষে আমি তাহাকে পাইলাম!
সমস্ত কিছুর জন্য বিধাতাকে প্রণাম জানাই।
#Best_Gift_Ever
#Joining_Letter
#Assistant_Director
#Bangladesh_Bank
জানেন, সম্ভবত আমার জীবনের সবথেকে বড় অর্জনের লিখিত দলিল এখন আমার হাতে। সংগ্রামী এই জীবনের বেকারত্ব ঘুচানোর জন্যতো বটেই সেই সাথে করোনা মহামারীর এই বিভীষিকা আর দিনের পর দিন অপেক্ষার নির্ঘুম রাতগুলো এই প্রাপ্তির সার্থকতা যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে! বাস্তবে এই মহামূল্যের অপেক্ষাতো সেই শিশুশ্রেণীর প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিল! "পড়াশোনা করে যে, গাড়ি - ঘোড়া চড়ে সে" এই প্রবাদতো আমার, আপনার আমাদের সকলের শিক্ষাজীবনের অনুপ্রাণ! সেই শিশুকাল থেকে গাড়ি - ঘোড়ায় চড়ার এই টিকিটের জন্যে এতো বছরের পর বছরের সাধনা, সংগ্রাম! জীবনটা সত্যিই অনেক স্বাদের অমৃতবাহী একটা সুধাপাত্র বটে কিন্তু তার খাঁজে খাঁজে সুতীক্ষ্ণ কণ্টক আর পিচ্ছিল প্রলেপের ছড়াছড়ি! তাইতো চলার পথে এতো ঝঞ্ঝা! আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত কত ত্যাগ, পরিশ্রম আর সংগ্রাম করে যাই ঠিকই কিন্তু সফলতা - ব্যর্থতার চক্রব্যূহে কত গল্পই হারিয়ে যায় মহাকালের গহীনে! কিন্তু বিশ্বাস করুন, বুকে হাত রেখে নিশ্চয়তা দিতে পারি, আপনি নিজে ভুলে গেলেও প্রকৃতি আপনার শ্রম আর আত্মত্যাগ কখনোই ভুলবে না! তাইতো শত ভীড়ের মাঝেও নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিকের দিনগুলোয় কনকনে শীতে রোজ সকালে কাঁপতে কাঁপতে পড়তে যাওয়ার ত্যাগকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে! তাইতো উচ্চ মাধ্যমিকে ঘরকুনো আপনার অতি ব্যস্ত যান্ত্রিক শহরে অচেনা হোস্টেলের পচা খাবার খেয়েও রোজ ১৮ ঘন্টা বই পড়িয়ে কাটানো স্বপ্নালু দিনগুলোকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে! তাইতো স্নাতক - স্নাতকোত্তরে শত পীড়ায় - ধোকায় জর্জরিত হয়েও সারারাত পড়ার টেবিলে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাটিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সকাল ৮ টায় টানা ৪ ঘন্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বর্বরোচিত ত্যাগকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে। তাইতো আপনাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যাওয়া আপনার মায়ের সমস্ত কষ্ট, দুঃখ, প্রার্থনাকে প্রকৃতি বিফলে যেতে দেয়না! তাইতো আপনার সফলতা আপনার বাবার সকাল থেকে রাত অবধি টানা কাজ করে যাওয়া ঘর্মাক্ত শরীরেও কোথায় যেন একটু ফুরফুরে বাতাস বইয়ে দেয়!
তাইতো ছোটবেলার সেই পরম প্রবাদ সত্যই সত্যি হয়ে যায় আর আপনার পড়াশোনা আপনাকে সত্যই গাড়ি - ঘোড়ায় চড়িয়ে পুরো মহাবিশ্বেই যেন আপনাকে পরিভ্রমণ করিয়ে নিয়ে আসে! তাইতো এই সমস্ত ধাপগুলো পেড়িয়ে আজ আমার জীবনের কৃষ্ণগহ্বরের মাঝে যেন এক উল্কাপিণ্ডের দেখা পেয়েছি! এ যেন রাশি রাশি অন্ধকারে থোকায় থোকায় আলোক কণা! এইতো জীবনের পরম পাওয়া, এইতো শত শত রাত জেগে পড়াশোনা করে যাওয়া কষ্টের পূর্ণতা প্রাপ্তি! এই ছোট জীবনে এর থেকে বেশী কিছু আর চাওয়ার নেই আসলেই।
তাই শত বিপত্তি, ব্যর্থতা থাকা সত্বেও এগিয়ে যান। এগিয়ে যাওয়াই জীবন।জীবন নিজেই যে কখন তাকে গুছিয়ে নেবে হয়তো আপনিও বুঝতে পারবেন না৷ জানি এখন সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এই দুঃসহ প্রাক্কালে নানাভাবে আমরা হতাশ হয়ে পরেছি। কিছু কিছু সময় হয়তো জীবনটাই অর্থহীন মনে হচ্ছে কিন্তু আসলেই এটার নামান্তর হলো ধৈর্যের পরীক্ষা! জীবন কখনো এমন জানিয়ে অথবা না জানিয়ে, গোপনে অথবা মহাসমারোহে বহু ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়। এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে শান্তমনে যতটা পারা যায় নিজের কাজ করে যান, বাকীটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে থেমে গেলে আপনার জীবনের সময়ও থেমে যাবে! তাই উঠুন, হাঁটুন, চলুন! হতাশাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই, হতাশা আছে বলেইতো আশার গুরুত্ব বোঝা যায়। আশা আর হতাশা সেতো মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ!
Collected
#স্বপ্নের_BCS :-
(৪৩ তম বিসিএস এর সার্কুলার (৪২ বিশেষ, ৪৩ সাধারণ) ২০২০ এ-র মধ্যেই হতে পারে।
পদ সংখ্যা -১৮১৪ ( চাহিদা )
জনপ্রশাসন ও পিএসসি সূত্র জানায়, আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিতে ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের চাহিদা পাঠিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মোট ১ হাজার ৮১৪ পদের চাহিদা পাঠিয়েছে। এতে শিক্ষায় নেওয়া হবে সবচেয়ে বেশি। এখানে পদসংখ্যা ৮৪৩টি। এ ছাড়া প্রশাসনে ৩০০, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, অডিটে ৩৫, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪, সমবায়ে ২০, ডেন্টাল সার্জন ৭৫ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারে ৩৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
#কৃতজ্ঞতা :
এই গ্রুপ আমাকে দিন দিন ঋণী করে তুলেছে! গ্রুপে একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, পরামর্শ কিংবা টিপস দেয়ার মতো দৃষ্টতা আমার মতো নগন্য মানুষের সেই দু:সাহস নেই৷ কাছের অনেক ছোট ভাই বোন যখন বলে 'কিভাবে পড়াশোনা করবো ' বলে লজ্জায় ফেলে দেয়, তাদের জন্য একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি! যদি কাজে লাগে ধন্য হবো!
শাকিল আল-আমিন ৩৬তম শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত।
@ " I have a Dream "
- M Luther King.
@ আগে স্বপ্ন ঠিক করুন আপনি কি হতে চান! বিসিএস ক্যাডার না অন্যকিছু! ভাইরে দুই নৌকায় পা দিলে আপনি নিমজ্জিত হবেন!
@আমরা সবাই প্রচুর পড়াশোনা করি কিন্তু সেটা কতটুকু মাথায় রাখতে পারি? এটাই বড় সমস্যা! তাদের উদ্যেশ্য বলি গুছিয়ে পড়ুন, প্রয়োজনে নোট করুন (ভয় পেলেন?) সমাধান দিচ্ছি,,,
ধরুন আপনি জব সলিউশন পড়ছেন! একে তিন ভাগ করুন..
১।এমন কিছু প্রশ্ন আছে যা আগামী ৩ বছর না পড়লেও পারবেন! এদের সেখানে থাকতে দিন!
২। এমন কিছু প্রশ্ন আছে যা পরীক্ষার হলে মাথা এলোমেলো করে দিবে, এদের কালার পেন দিয়ে গোল দাগ দিন!
৩।কিছু প্রশ্ন পাবেন যা আপনি মনেই রাখতে পারবেন না এদের ঘাড় ধরে নোট করুন! দাগ দিবেন না!
পরীক্ষার আগে আগে যখন জব সলিউশন টা মাত্র ১ দিনে রিভিউ করে ফেলবেন, তখন আপনার হাসি দেখে কে? এভাবে সব বই পড়বেন! কারণ পরীক্ষার আগে আপনি রিভিশন দিতে না পারলে আপনার প্রস্তুতি ৪০% কম হবে!
@আমরা অনেকেই দিনে ১২/১৪ পড়াশোনা করে 'মনে মনে বলি ইয়েস সেই পড়ে ফেলসি মাম্মা! একবার কি খেয়াল করেছেন কি পড়েছেন সারাদিন? ভাইরে পড়ালেখায় Serious হওয়ায় প্রয়োজন নাই Sincere হউন! রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই ঠিক করুন কি /কোন. সাব্জেক্ট পড়বেন! তা না হলে টেবিল এ বসে পাতা উল্টাতে হবে!
@যাদের মন বসেনা পড়ার টেবিলে, তাদের বলি আপনার সুবিধাজনক একটা পড়ার রুটিন করে কঠোরভাবে ফলো করুন! রুটিন আপনাকে পড়ার তাগিদ দিবে! সবকিছুর ফাকে ফাকে পড়ালেখা নয়, পড়ালেখার ফাকে ফাকে ফেসবুক, আড্ডা, ব্লা...ব্লা
আপনার ক্যারিয়ার না থাকলে আপনি অচল পয়সা!
@আপনার পড়ালেখা হবে সুদূর প্রসারী! যেমন গণিত! শুধু শর্টকাট পড়বেন না, আর প্রিলিতে গণিতে খুব বেশী সময় দিবেন না! ১৫ এর মধ্যে আপনি কিছু না করলেও. ৭/৮ পাবেন! আবার অনেকেই গণিতে দুর্বল বিসিএস লিখিত ভয় পাচ্ছেন, তাদের উদ্যেশ্যে বলি ৩৫ তম বিসিএস এ গণিতে ৫০ এ ১৫/২০ পেয়েও "প্রশাসন ক্যাডার " ও পেয়েছেন!
তাই আপনি আপনার Strong Side বের করুন একে আরোও শাণিত করুন!
��আমি বিগত বিসিএস ক্যাডারদের নম্বর পত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করব কে কীভাবে স্ট্রং আর উইক জোনকে কাজে লাগিয়েছেন।।
@পড়ার লোভ সামলান, অর্থাৎ অপ্রাসঙ্গিক পড়ে মাথা নষ্ট করবেন না! বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান ও বিশ্লেষণ করুন! যত বাদ দিয়ে পড়ার কৌশল রপ্ত করতে পারবেন তত সফল হবেন! আর হ্যাঁ সারাদিন টেবিলে মাথা গুজে শুধু পড়াশোনা ই করবেন না চোখ কান খোলা রাখুন! নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন, বিবিসি শুনুন! মনে রাখবেন অতি পড়ুয়ারা খুব বেশি ক্যাডার হয়না, স্মার্টরা ই ক্যাডার হয় বেশি!
@ কি কি বই পড়বেন?
প্রথমেই বাজার থেকে ১০-৪০ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ যেকোন একটা বই কিনে শেষ করে ফেলুন। তাহলেই বুঝবেন কোথাই কোথাই থেকে প্রশ্ন আসে। ঠিক বুঝে যাবেন আপনি।।
ইংরেজিঃ
Grammar অংশের জন্য আপনার সহায়ক বই হতে পারে-
1) Common Mistakes in English by T. J. Fitikides
2) English for Competitive Exams by Md Fazlul Haque
3) A Passage To English Language by Jakir Hossain
4) S@ifur's Vocabulary or Studen vocabulary..
5) লিখিততে যুগোপযোগী শব্দার্থ ব্যবহার করতে The Daily Star পত্রিকার এডিটরিয়াল পার্টের বহুল প্রচলিত শব্দার্থগুলো খাতায় লিখে ফেলুন। Eassy লিখতে খুব কাজে লাগবে। কঠিন শব্দার্থ শিখলেও অই মুহুর্তে মাথায় আসে কম।।
যদি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র না হোন তাহলে সাহিত্য অংশটি আপনার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেক্ষেত্রে একটি নয়; অনেকগুলো বই, নোট আপনাকে সহযোগিতা করবে।
1) A comprehensive approach to English Literature by Majharul Islam
2) Miracle by Oracle Prakashan
3) A handbook on English Literature by Sharif Hossain Ahmad Chowdhury
Note: ইংরেজি সাহিত্য অংশ গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন। এটা মনে রাখতে খুবই সাহায্য করে।।
বাংলাঃ
ব্যাকরণ অংশে-
ক) বাংলা ভাষার ব্যাকরণঃ ৯ম-১০ম শ্রেণি
খ) বিসিএস বিষয় বাংলাঃ ড. সৌমিত্র শেখর
গ) প্রবাদের উৎসসন্ধানঃ সমর পাল
ঘ) প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মঃ বাংলা একাডেমি
সাহিত্য অংশে-
ক) লাল নীল দীপাবলিঃ হুমায়ুন আজাদ
খ) কতো নদী সরোবরঃ হুমায়ুন আজাদ
গ) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসঃ মাহবুবুল আলম
ঘ) শীকর- মোহসিনা নাজিলা
Note: বাংলা সাহিত্য অংশ গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন। এটা মনে রাখতে খুবই সাহায্য করে।।
গণিত ও মানসিক দক্ষতাঃ
১) সিলেবাস অনুসারে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠ্য বই
২) BCS Shortcut Math by Mohammad Arifur Rahman
৩) মানসিক দক্ষতাঃ ওরাকল গাইড (লিখিত)
বিজ্ঞানঃ
১) সাধারণ বিজ্ঞান (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম)
২) পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞান (৯ম)
.
বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ
১) অসমাপ্ত আত্মজীবনীঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
২) ইতিহাস (৯ম ১০ম) এবং পৌরনীতি ও সুশাসন
৩) বাংলাদেশের সংবিধান- আরিফুর রহমান
৪) মূলধারা ৭১- মঈদুল হাসান
৫) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসঃ মুনতাসির মামুন ও মাহমুদুর রহমান
৬) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- (৬ষ্ঠ-৯ম)
৭) বাংলাদেশের তারিখঃ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
৮) স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয়ের ইতিহাস - আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ
১) বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছরঃ তারেক শামসুর রেহমান
২) নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতিঃ তারেক শামসুর রেহমান
৩) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতিঃ শাহ মুহাম্মদ আব্দুল হাই
৪) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতিঃ মোঃ আবদুল হালিম
.
কম্পিউটারঃ
১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক)
২) Easy কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
ভূগোল ও পরিবেশঃ
১) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল বই
২) এসিউরেন্স গাইড
নৈতিকতা ও মূল্যবোধঃ
১) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল বই
২) এসিউরেন্স গাইড
.
#গাইড_বইঃ
গাইড বইয়ের উপর পুরোপুরি ভরসা না করা গেলেও আপনার প্রস্তুতিকে গতিশীল করবে। সেক্ষেত্রে
>> ইংরেজি + বাংলা + কম্পিউটারের জন্য MP3,
>>বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি +ভূগোল + নৈতিকতা মূল্যবোধের জন্য অ্যাসিওরেন্স,
>>গণিত + মানসিক দক্ষতা প্রফেসর
>> বিজ্ঞানের জন্য জামিলস বিজ্ঞান!
#বিদ্রঃ নিয়মিত পত্রিকা পড়া(বাংলা, ইংরেজি ), বিবিসি সংবাদ শোনা জরুরী।
#### পরীক্ষার হলে করণীয় ####
ডারউইন এর বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে " Tomorrow As yesterday only the fittest will survive in the struggle for existence ".
পরীক্ষার হলটাও তাই, পরীক্ষা দিবে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ, টিকে থাকবে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার! মাথায় রাখবেন!
@ পরীক্ষার হলে ২ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ! আপনার এত্তদিনের সাধনা ভেস্তে যেতে পারে!
*প্রথমেই বলবো লোভ সামলান, হ্যাঁ লোভ সামলাতে বলছি! পিএসসি আপনাকে কিছু কনফিউজড প্রশ্নের লোভ দেখাবে, ফাঁদে পরেছেন তো মরেছেন! অনুমানের শিল্প দেখানোর দরকার নাই!
অনেকেই মনে করেন আরে ১৬০ গোল্লা ভরাট করি সর্বোচ্চ ২০ টাই ভুল হলো, তাও তো ১৩০ পাইতাছি! পরে হিসাব করে দেখা গেল নেগেটিভ মার্কিং এ পিএসসি উনার কাছে ২০ পায়!
সাধু সাবধান শুধু নেগেটিভ এর জন্য আপনি ধরা খাবেন!
@আসুন প্রিলিতে টিকার জন্য কি দরকার একটু বিশ্লেষণ করি! ৩৫ তম থেকেই নতুন ধাচের বিসিএস শুরু হয়েছে, কি প্রিলি, কি লিখিত!
বিগত কয়েকটি বিসিএস এর কাট মার্ক্স ছিলো আনুমানিক
৩৫ এ ৮৮,
৩৬ এ ১০৮,
৩৭ এ ৯৮,
৩৮ এ ১১০,
৪০এ ৯৮-১০০!(আনুমানিক )
তাহলে প্রিলিতে ২০০ তে আপনার ১৪০ পাওয়ার দরকার নাই, ১১৫/১২০ ই সেভ জোন! কেউ যদি ১৫০+ পায় আমাদের আপত্তি নাই, আমি সর্বসাধারণের কথা বলছি! আপনার প্রস্তুতি কে আরোও শাণিত করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হউন!
@বাংলাদেশে বিসিএস ক্র্যাজের অন্যতম কারন ক্যাডার এর পাশাপাশি #Non_Cadre_fact. অনেককেই বলতে শুনেছি তিনি শুধু নন ক্যাডারের জন্য বিসিএস দিচ্ছেন! নন ক্যাডারের আলাদা কোন সার্কুলার নেই বললেই চলে!
#আমি বলছি না বিসিএস ই জীবনের সব, এটা শুধু বিসিএস স্বপ্ন বিলাসীদের জন্য! রিজিকের মালিক আল্লাহ, তিনিই উত্তম ফায়সালাকারী! আপনি শুধু লেগে থাকুন!
@অভিজ্ঞতাটুকু কারো বিন্দুমাত্র উপকারে আসলে ভাল লাগবে! এই অনভিজ্ঞ মানুষের অভিজ্ঞতা শেয়ার যদিও হাস্যকর, তবুও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!
সকলের দোয়া প্রত্যাশী .......
#আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বিসিএস প্রিলি পাশ করার কিছু কৌশল শেয়ার করব, যা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত।
#আমি কোন কোচিং বা পাবলিশার্সের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলব না, তবুও নিজের ভাল লাগা কিছু বই, টেকনিক আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
#পর্ব ১
কৌশল
১. বিসিএস প্রিলিতে পাস করার জন্য ৬০% (১২০) নাম্বার সেইফ জোন, প্রশ্ন যত সহজ বা কঠিন হোক না কেন।
২. পিএসসি আপনাকে সর্বনিম্ন ১২০ টা প্রশ্ন দিবে, যা আপনার জানার মধ্যে থাকবে, যদি প্রিপারেশন নেন। সেই ১২০ টা প্রশ্ন খোঁজে নিতে হবে নেগেটিভ মার্কিং ছাড়া। পিএসসি এক পার্ট সহজ করে, আবার অন্য পার্ট অনেক কঠিন করে, তাই কঠিন পার্ট দেখে মাথা গরম করা যাবে না। আবার অনেক সময় সব পার্ট এভারেজ করে, কিন্তু আপনাকে ১২০ টা দিবে।
৩. কেউ যদি কোচিং করেন দয়া করে সব পরিক্ষা নিয়মিত দিবেন, পরিক্ষা দিতে দিতে দেখবেন সিলেবাস শেষ। ক্লাস করা জরুরি বলে আমি মনে করি না। আমি ওরাকলে পরিক্ষা দিতাম, ওরা মনে হয় সব চেয়ে বেশি পরিক্ষা নেয়। প্রশ্ন যথেষ্ট মান সম্পূর্ণ করে (মডেল টেস্ট বাদে)। সেখানে ৮০-৯০% মার্কস তোলা যায়, যা আপনার কনফিডেন্স লেবেল বাড়াতে সাহায্য করবে।
৪. বিসিএসের পূর্ববর্তী প্রশ্ন সম্পর্কে খুব খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে, যা আপনার মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং ভাল % কমন পাবেন। এমন ভাবে পড়তে হবে, যদি প্রশ্ন ঘুরে ও আসে তাহলেও যেন পারা যায়, যেমন ঢাকা কোন দেশের রাজধানী?? আবার বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়??
৫. প্রিপারেশনের শুরুতে অনলাইন শিট না পড়াই ভাল। আগে সিলেক্টেড বই ভালো ভাবে শেষ করতে হবে।
৬. কোন বই ১০০% কাভার করে না, আবার একটা বইয়ের সব পড়তে হয় না। যা পরবর্তীতে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় আসবে।
৭. আপনাকে কখনো ২০০ মার্কের প্রিপারেশন নিতে হবে না। সর্বোচ্চ ১৭০-১৮০।
৮. সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে খুব বেশি সময় দেওয়ার দরকার নাই। যা পরিক্ষার আগে কিছু বই পাওয়া যায়, তা পড়লেই হয়।
৯. সিলেবাস শেষ হলে প্রচুর পরিমাণে মডেল টেস্ট দিতে হবে, যা আপনাকে ধারালো করবে।
১০. মনে রাখবেন কেউ বিসিএস প্রিপারেশন নিয়ে জন্ম নেয় নাই, মুটামুটি সবাই একই ধরনের বই পড়ে ক্যাডার হয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
১১. প্রশ্ন পড়ার সময় অপশন ছাড়া মনে রাখার চেষ্টা করুন।
১২. আপনারা মনে থাকে না এটা ভুল ধারনা, এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। বারবার পড়ুন ও বেশি করে পরিক্ষা দেন।
#কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
মোঃ মনিরুজ্জামান
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সুপারিশ প্রাপ্ত ৩৮তম বিসিএস, ৪০ তম লিখিত ফল প্রত্যাশী)
কখনোই স্বপ্ন ছিল না যে সরকারি চাকরি করব। আমার কাছে ভাল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা দেশের বাইরে যাওয়াটাই স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন ছিল। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করে রিনিউবল এনার্জি টেকনোলজিতে মাস্টার্স কম্পলিট করলাম ঢাবি থেকে। এর মাঝে টুকটাক কিছু জব হলেও চাকরির বাজারের বেহাল দশা দেখে হতাশই হতে হল। মাস্টার্সের শেষের দিকে জয়েন করলাম BNDC Project (Bangladesh National Data Center)-এ। একটা থার্ড পার্টির অধিনে ছিলাম, সরাসরি রিক্রুটেড ছিলাম না। এতে করে কাজ একই হলেও সরাসরি রিক্রুটেডদের সাথে আমাদের সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য ছিল বিস্তর। সকাল ৮টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাইটেই থাকতে হত। অনেক সময় সাইট থেকে বের হয়ে রিকশা পেতাম না, হেটেই চলে আসতে হত বাসায়। এমতাবস্থায়, চাকরির অনেক প্রয়োজন থাকা সত্বেও চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। মাস্টার্স যেহেতু শেষ ঠিক করলাম এবার বাইরে যাবার চেষ্টা করতে হবে, বাসায় জানালাম। বাবা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। আমাকে বাইরে যাতে দিতে চাননা। বললেন, সরকারি চাকরিতে ১/২ বছর চেষ্টা করে দেখ প্রথমে, যদি কিছু নাহয় তাহলে বাইরে চলে যাইস।
ছোট বোনের অনুপ্রেরনায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করলাম জব প্রিপারেশন।
অনেক ভেবে ঠিক করলাম ব্যাংকের প্রিপারেশন নেব। কারন ম্যাথ আমার ভাল লাগত, আর ব্যাংকে ম্যাথ বেশ এগিয়ে রাখে।
গ্রুপে পোস্ট দিয়ে বুঝলাম ২০১৬/১৭ সালের কিছু এক্সামের পরীক্ষা পেন্ডিং আছে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে হয়তো পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
প্রিপারেশন শুরু করলাম। প্রতিদিন দুইটা করে প্রিলি প্রশ্ন সলভ করা, দুই সেট রিটেন ম্যাথ সলভ করা, প্রতি সপ্তাহে আগারওয়াল এর ম্যাথ থেকে কমপক্ষে দুই চ্যাপ্টার ম্যাথ শেষ করে ফেলা এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ২ ঘন্টা বাংলা/ইংরেজিতে দেয়া। প্রশ্ন সলভ করতে গিয়ে যেগুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেটা গ্রুপে সার্চ দিয়ে বের করে নিতাম।
প্রিলি প্রশ্ন সলভ করতে প্রথমদিকে ২/৩ ঘন্টাও লেগে যেত। কিন্তু হতাশ হতামনা। যেহেতু সবাই পারে, আমিও পারব। প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতাম। এবং নিজের প্রগরেস নিজেই বুঝতে পারতাম। এতে উৎসাহটাও বেড়ে যেতো খুব।
আমি খুব বাংলা-ইংরেজী খুব সিলেকটিভলি পরতাম। এগুলা আমার জন্য কঠিন ছিল, এখান থেকে ৫০% মার্কস কিভাবে উঠানো যায় সেটাই আমার টার্গেট ছিল।
বাংলায় ক্লাস ৯-১০ এর গ্রামার বইটা ২ বার শুধু রিডিং পড়েছি। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে মার্ক করে রেখেছি। এরপর শুধু মার্ককরা অংশটাই পড়তাম। বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, সমাস, সন্ধি, কারক, শব্দ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান ইত্যাদি চ্যাপ্টার গুলো বেশি পড়তাম। একেবারেই মনে থাকত না, পরীক্ষার আগেও পড়তে হত।
ইংরেজিতে মোটামুটি বেসিক ছিল। ভোকাবুলারি মুখস্থ করার মত সাহস করতে পারিনি কখনো। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখলাম 40-50% নাম্বার থেকে যাচ্ছে ইংরেজিতে। শুধু প্রিভিয়াস সলভ করেছি এবং 'Common Mistake' নামের একটা বই ছিল, সেটাই শুধু পরেছি। নেট থেকে কালেক্ট করে One Word Substitution পড়েছি কিছু।
কম্পিউটাররের জন্য ইজি কম্পিউটার বইটা দুইবার শেষ করেছি। এরপর এক্সামভেডা ওয়েবসাইট থেকে কম্পিউটার অংশ মুখস্থ করেছি। গ্রুপের ফাইল সেকশনে এক্সামভেডা কম্পিউটারের ফাইল পাওয়া যাবে।
GK-র জন্য রেগুলার যখন পড়তে ভাল লাগত না, পত্রিকা পড়তাম, কারেন্ট এফেয়ার্স এর প্রথমদিকের হাইলাইটসটা পড়তাম এবং সব চেয়ে যেটা ইম্পর্ট্যান্ট ছিল, গ্রুপে অনেক সাধারণ জ্ঞ্যান, সাম্প্রতিক জ্ঞ্যান পোস্ট হত সেগুলো পড়তাম এবং ফেসবুকেই সেভ পোস্ট দিয়ে রাখতাম। পরে যখন ফ্রী থাকতাম পড়তাম।
গণিত এর জন্য আগারওয়ালের ৯/১০ টা চ্যাপ্টার কম্পলিট করেছি। এক্সামভেডা থেকে ম্যাথ সলভ করেছি। গ্রুপের বিভিন্ন ম্যাথ সলভ করেছি। যদিও সবসময় কমেন্ট/পোস্ট করা হয়নি। নিজের খাতায় সলভ করতাম বেশি।
পরীক্ষার আগে ফ্যাকাল্টি বেজড প্রিপারেশন নিতাম। প্রিভিয়াস ম্যাথ, বাংলা, এবং কম্পিউটার অনেক কমন পেয়েছি বিভিন্ন পরীক্ষায়।
বাসা থেকে বের হলে অনেকে অনেক কিছু বলবে তাই বের হতামনা। সারাদিন ঘরে বসে হয় পড়তাম নাহয় ঘুমাতাম নয়তো ফেসবুকে গ্রুপে সময় দিতাম। মাঝেমাঝে টুকটাক ভাল মুভি দেখতাম।
**এর মধ্যে পিকেবির দুইটা প্রিলি দিলাম। প্রথম পরীক্ষায় গণিত দিয়ে শুরু করলাম। ফলে অনেক প্রশ্ন আমি দেখতেই পারিনি। পরের পরীক্ষা তুলিনা মূলক ভাল হল। ম্যাথ শেষে দিয়েছি। তারপরও শেষের দিকে সময় শর্ট পরে গেল। বেশ কিছু সহজ অংক করতে পারিনি।
ফলাফল দুইটাতেই প্রিলি ফেইল।
**এবার দিলাম রূপালি অফিসার (৭৩৬ পোস্ট-২০১৭), আর্টস ফ্যাকাল্টি পরীক্ষা নিয়েছিল। ম্যাথ সবগুলোই প্রিভিয়াস থেকে আসছিল। উত্তর মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল প্র্যাকটিস করতে করতে। মোটামুটি ৪৭/৪৮ মিনিটে আমার সব দাগানো শেষ।
ফলাফল, প্রিলি পাস করলাম।
খুব করে পড়লাম রিটেনের জন্য, টার্গেট ছিল মেরিটে যদি নাও আসে অন্তত যেন প্যানেলে জব হয়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট মোটেই ভালো ছিল না। নার্ভাসনেসের কারনে সবগুলো ম্যাথ রিপিট হওয়া সত্বেও ২টা ভুল করে বসলাম। রিটেন কোনরকম শেষ করলাম। তারপরও আশা করেছিলাম কোনরকম হয়তো টিকে যাব।
ফলাফল রিটেন ফেইল।
**রূপালী সিনিয়র অফিসার (৪৪৩ পোস্ট, ২০১৬)
আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়েছিল। প্রিলি ভালই হল, সব প্রশ্ন দেখতে পেরেছিলাম ;)।
ফলাফল প্রিলি পাশ করে গেলাম।
রিটেনের আগের দিন রূপালী অফিসারের রিটেনের রেজাল্ট দিল। কয়েকবার চেক করেও নিজের রোলটা পেলাম না। সেদিন আর কিছু পড়তে পারিনি। রাতে কিছু খাইনি। থেকে থেকে শুধু কান্না পাচ্ছিল।
পরদিন সকালে একদম ফাকা মাথায় প্রায় একঘন্টা আগে পরীক্ষার হলে চলে গেলাম। সবাই যখন নোট পড়ছিল আমি তখন নির্লিপ্ত। আমার হারানোর কিছুই নাই। পরীক্ষা দিলাম। ৭টা ম্যাথই প্রথম চেষ্টাতেই মিলে গেল। আর রিটেনেও ওভার অল দিয়ে তৃপ্তি পেলাম। শেষে ৫/৭ মিনিটের মত সময় ছিল। রিভিশন দিলাম।
হল থেকে বের হয়েই বাসে উঠলাম, বিকালে আবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিলি পরীক্ষা। বাসে উঠেই #Joy_Saha দাদার সমাধান পেলাম। আমার সবগুলো ফলই মিলে গেল আলহামদুলিল্লাহ।
ফলাফল রিটেন পাশ করলাম।
জীবনের প্রথম (এবং একমাত্র) ব্যাংক ভাইভায় মোটামুটি প্রিপেয়ার্ড হয়ে গেলাম। এক্সটার্নাল স্যার প্রথমেই দুইটা প্রশ্ন করলেন যেগুলো জীবনে শুনি নাই। নার্ভাস হয়ে গেলাম। এমতাবস্থায় বোর্ড চেয়ারম্যান (মনিরুজ্জামান স্যার) আমাকে বাচালেন। আমার চাকরি অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুক্ষণ আলাপ করে ছেড়ে দিলেন।
ফলাফলঃ আলহামদুলিল্লাহ টিকে গেলাম।
আমার প্রিপারেশনে এক্সট্রাওর্ডিনারি কিছুই ছিল না। সিনিয়র অফিসার পোস্টে কম্পিট করার কোন যোগ্যতাই আমার ছিল না। তারপরও ফাইনালি আমি টিকে গেলাম। আমি মনেকরি এটা আমার জন্য পুরোটাই লাক ছিল। পিউর লাক। আর আমার সামান্য চেষ্টাটা হয়ত শুধুমাত্র উছিলা ছিল।
-
এ সময়ে আমি আমার পরিবার থেকে পুরো সাপোর্ট পেয়েছি। ঢাকায় না থেকে বরং বাড়িতে থেকেই পড়েছি পুরোটা সময়, এতেকরে মেস, বুয়া, বাজার বা টাকা-পয়সার কোন বাড়তি টেনশন কাজ করত না। সামাজিকতা যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেছি। ফেইক ফেইসবুক আইডি ওপেন করলাম গ্রুপে প্রিপারেশন নেয়ার জন্য(এটাই ফেইক আইডি)। অরিজিনাল আইডি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলাম।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাণের এ গ্রুপটার অবদান ছিল।গত বছরের শেষ ছয়মাস জুড়ে আমার অবসর বলতে মূলত এই গ্রুপটাই ছিল। এই গ্রুপের এডমিন, মডারেটর এবং আরো অনেক পরোপকারী সদস্যদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। এতদিন তেমন কোন পোস্ট না করলেও, এখন থেকে গ্রুপের সাথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।
এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পথচলা। আরো চার বছরের মত সময় হাতে থাকলেও আর হয়তো কোন চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। জীবনটা অনেক ছোট, ১/২ বছর সময় এই ছোট্ট জীবনের অনেক বড় একটা অংশ। আর কোন সময় আমি হারাতে চাইনা। আর যা পেয়েছি তার জন্য হাজার শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে।
সবার জন্য শুভকামনা
-
Mohammad Rahim (জাবির)
Senior Officer (Recommended)
Rupali Bank Limited