ব্যাংক আপডেটঃ **ব্যাংক প্রিলির প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সংযোজন করা হয়েছে || প্রফেসরস ব্যাংক জবস থেকে বিগত সব প্রশ্নের সমাধানসহ দেওয়া হয়েছে || Model Test সংযোজন করা হয়েছে** || আরও থাকছে Subjet Rewiew & Suggestions***
চাকরির প্রস্তুতিমূলক বইঃ ** ফ্রি E- Book পিডিএফ সম্পূর্ন দেওয়া হয়েছে এই সাইটে ** সংগ্রহ করে নিন
বিসিএস আপডেটঃ ** বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সংযোজন করা হয়েছে || বিগত ১০তম থেকে ৪০তম বিসিএস প্রশ্নের সমাধানসহ সংযোজন করা হয়েছে***|| Model Test সংযোজন করা হয়েছে**
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনি আপডেটঃ ** শিক্ষক নিবন্ধনি পরীক্ষার জন্য সাপ্লিমেন্ট সম্পূর্ন পিডিএফ আকারে দেওয়া আছে ** ডাউনলোড করে নিন ** এছারাও প্রফেসরস শিক্ষক নিবন্ধনি বিগত প্রশ্ন ১ম থেকে ১৬তম পর্যন্ত সমাধানসহ দেওয়া হয়েছে ** প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন
এই মাসের আপডেটঃ ** সরকারি চাকরি ও ব্যাংক এর পরীক্ষা সংক্রান্ত নোটিস পাবেন ** এই সাইটের শুরুতেই দেখুন নোটিফিকেশন দেওয়া আছে ** নিয়মিত নোটিফিকেশন পড়ুন তাহলে চাকরির পরীক্ষা বা এডমিট কার্ড মিস হবে না***
এই মাসের আপডেটঃ ** নিজে পড়ুন সেই সাথে শেয়ার করে অন্য একজনকে দিয়ে তার উপকার করুন ** আমদের সাইট যদি আপনার এতটুকু ভালো লাগে থাকে তবে বেশি বেশি শেয়ার করে অন্য একজনের পড়ার সুযোগ করে দিবেন***
এই মাসের আপডেটঃ *** Professors JOB Solution NEW EDITION - 2019-20 সম্পূর্ন বইটির পিডিএফ দেওয়া হয়েছে এই সাইটে ডাউনলোড করে নিন ***
Important Notice: ** এই ওয়েবসাইটের সকল তথ্য / ফাইলসমুহ বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে চাকরি প্রার্থীদের সুবিধার জন্য একত্র করার প্রয়াস মাত্র। JobSeekersClubBD কোন বই / ফাইল স্ক্যান করে না বা তার Pdf তৈরি করে না। কোন ফাইল / Article সম্পর্কে লেখক/প্রকাশক / সত্ত্বাধিকারীর কোন আপত্তি থাকলে অনুগ্রহ করে ফাইল / Article এর নামসহ আমাদের Email করুন। পরবর্তী আপডেটের সময় ইনশাআল্লাহ ফাইল /Article টি ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হবে।

Sitemap


You Must Read !



সহকারী পরিচালক (বাংলাদেশ ব্যাংক) 


#প্রিলি_প্রস্তুতি


কথিত আছে, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রিলিতে ফেল করা কঠিন। দুধভাত লেভেলের ম্যাথসহ অন্যান্য যে প্রশ্নগুলো পরীক্ষায় আসে তারচেয়েও অনেক কঠিন কঠিন বিষয় সামলে তারা অভ্যস্ত। চলুন একনজরে প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা নেয়া যাকঃ  


প্রশ্ন সংখ্যাঃ ৮০টি 


মোট নম্বরঃ ১০০


সময়ঃ ১ ঘণ্টা 


৮০ টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৫টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর করতে পারলেই মোর দ্যান সেইফজোনে থাকা যায়। কোন নেগেটিভ মার্কিং নেই।


#বাংলা (কমবেশি ১৫টি প্রশ্ন)


১. বিগত ১০ বছরে সরকারি ব্যাংকসমূহের পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধান। 


২. নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ড ব্যাকরণ A to Z.


৩.গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ   


ধ্বনি


শব্দ


বানান ও বাক্য শুদ্ধি 


পদ-প্রকরণ 


সন্ধি


সমাস


কারক-বিভক্তি 


উপসর্গ-অনুসর্গ 


সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ


প্রতিশব্দ ,পরিভাষা, অনুবাদ  


এককথায় প্রকাশ


বাগধারা , প্রবাদ – প্রবচন


পত্রিকার সম্পাদক


বিখ্যাত উক্তি, গানের গীতিকার


বিখ্যাত কাব্য, গল্প, উপন্যাসের রচয়িতা ও কেন্দ্রীয় চরিত্র


#Math (20-25 Questions)


1. বিগত ১০ বছরে সরকারি ব্যাংকসমূহের পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধান।


2. ৮ম থেকে ১২শ শ্রেণীর সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত। (ইংরেজী ভার্সন) 


3. Important Topics: 


Set, Venn diagram


Number


Statistics


Ratio, Percentage 


Unitary Method (Time, Work, Pipe & Cisterns related) 


Profit & Loss


Partnership


Mixture


Simple & Compound Interest


Factorial


Permutation & Combination


Probability


Time, Speed, Distance (Boat & Stream, Train & Passenger related)


Sphere, Cylinder, Circle, Polygons (Area, Volume, Circumference) 


Series (nth term, Sum) 


Slope


Angle of Clock hands, 


Trigonometric Angles, Algebraic equations


(indiabix / examveda / lofoya / অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে টপিক ধরে ধরে প্র্যাকটিস করতে পারেন। যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে দিবে।)  


 


#English (15-20 Questions)


1. বিগত ১০ বছরে সরকারি ব্যাংকসমূহের পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধান।


2. English For Competitive Exams (Author: Md. Fazlul Haque, Publisher: Professor's)


3. Important Topics:


Analogy


Spelling


One word substitution


Parts of Speech


Phrases & Idioms


Preposition


Sentences & Transformations


Synonyms & Antonyms


#GK (15-20 Questions)


1. বিগত ১০ বছরে সরকারি ব্যাংকসমূহের পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধান।


2. Important Topics:


MDG, SDG


LDC Graduation criterion


Liberation War


Intelligence Agencies


Budget


BD position in various index


WB, IMF, ADB, NDB, IDA, SAPTA, BIMSTEC, CIRDAP, OIC, G-7, UN & its organs


Bull Market, Bear Market, BSEC, CRR, ADR, SLR, CAMELS


Sculpture, Currency, Presidents


Separation Lines, Straights


Solar System


Sports


National & International days


Bangla years, months, days


Recent issues


And many more!


(জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই… :p)


#ICT (10-15 Questions)


1. বিগত ১০ বছরে সরকারি ব্যাংকসমূহের পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধান।


2. Important Topics:


Computer peripherals, Input & Output device, CD, DVD, RAM, ROM


Printer, Scanner, Plotter


MS Office (World, Excel)


Shortcut key


Bus, Logic gate, IC


Data, Information, Cookies


Virus, Anti-virus


OTG, OCR, OMR, FTP, LAN, WAN, URL, WWW, HTTP, Mail, Fax


Decimal, Binary number (Addition, Subtraction, Multiplication)


Database system


Algorithm


Tech-Giants services & news


Social Networking, Launching years, Founders


*** বিসিএস প্রিলির বিষয়ভিত্তিক বই/ডাইজেস্ট পড়ার সময় উল্লিখিত টপিকগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে নিন, তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যাবে! 


*** বিগত বছরে পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন ও সমাধানগুলো Professor’s Govt Bank Job Solution থেকে দেখতে পারেন।  


*** ইংরেজির জন্য কিছু “High Frequency Vocabulary” পড়তে হবে। যেগুলো Word Smart/অন্যকোন বই/ BCB, BBEA facebook group থেকে সংগ্রহ করে নেওয়া যাবে। লিংকঃ 


https://www.facebook.com/groups/476028739104549/?ref=group_browse


https://www.facebook.com/groups/282520541845529/?ref=group_browse


[ বি: দ্র: সবার প্রস্তুতি নেওয়ার কৌশল আলাদা। নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিন। কোন ব্যাপারে মত, দ্বি-মত, জিজ্ঞাসা থাকলে জানাতে পারেন।] 


সবশেষে একটা কথা,


পরিশ্রম করুন!  পরিশ্রম করুন!! পরিশ্রম করুন!!


 বাংলা ব্যাকরণ এর জন্য

অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী স্যারের 'উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা'
অথবা আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি
বা, মাহবুবুল হক স্যারের বাংলা ব্যাকরণ
এই বইয়ের ব্যাকরণ অংশটা কয়েকবার ভালো ভাবে পড়বেন
৮ম ও ৯ম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বইটা দেখতে হবে । বিশেষ করে সমাস, সন্ধি, কারক ও বিভক্তি, এক কথায় প্রকাশ, সমার্থক শব্দ এই গুলো থেকে প্রশ্ন আসবেই।  বোর্ডে যে যে প্রশ্ন ব্যাকরণ থেকে এসেছে সেই গুলো পড়বেন সাথে বিভিন্ন ভার্সিটির ব্যাকরণ অংশের সমাধান দেওয়া থাকে সেগুলোও পড়বেন ।
ভালো প্রস্তুতির জন্যঃ  ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দ গঠন ও প্রকরণ, পুরুষ, অনুসর্গ, উপসর্গ, বাক্য প্রকরণ ও রূপান্তর, ক্রিয়ার কাল, পদ, ধাতু, বিরাম চিহ্ন, বাচ্য ও বচন এগুলো পড়তে হবে । এই গুলোর বাহিরে বাংলা ব্যাকরণ থেকে খুব একটা প্রশ্ন আসবে না । এই অংশ ভালো ভাবে পড়লে বাংলা থেকে ভালো মার্ক পাওয়া যাবে । 


বাংলা সাহিত্যের জন্য

ক্লাস ৬-১১ শ্রেণির বাংলা বোর্ড বইয়ের সকল কবি পরিচিতি আর গল্প/কবিতার উৎস, পটভূমি কোন কবিতা কোন ছন্দে রচিত এসব কয়েকবার করে রিভিশন করবেন । তবে মূল গল্পটা ভালো ভাবে মার্কিং করে পড়লে আরো ভালো হয় । কবিতার ছন্দ থেকে প্রায়ই প্রশ্ন আসে । বইয়ে অনেক কবিতা আছে আর সব গুলো কবিতার ছন্দ মনেও রাখা যায় না । একটা টিপস দিচ্ছি । ব্যাকরণ বইয়ের ভাব সম্প্রসারণ অংশে চলে যান এখানে অনেক গুলো কবিতার চরণ ও ছন্দের ভাব সম্প্রসারণ পাবেন সেগুলো কোন কবিতার আর কোন কবির তা খোঁজে বের করুন । বার বার পরিক্ষায় আসা ছন্দ গুলো পড়ুন । বেশি পরিচিত ও লম্বা কবিতা গুলো বার বার পড়লে উত্তর করা সহজ হবে । তাছাড়া বিখ্যাত অনুবাদ বইয়ের নাম, অনুবাদ গল্প/নাটক এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। বাংলা সাহিত্য নামকরা কয়েকজন কবি ও সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন আসে । বিশেষকরে পিএসসির নির্ধারিত কবি ও সাহিত্যিকদের জীবনী ও তাদের কাজ অবধান এই অংশ থেকে প্রশ্ন আসবেই । তাই এই গুলো মুখস্থ করে ফেলুন।


পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক
১. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
২. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৩. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৪. মীর মশাররফ হোসেন
৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬. দীনবন্ধু মিত্র
৭. কাজী নজরুল ইসলাম
৮. জসীম উদ্দীন
৯. ফররুক আহমদ
১০. কায়কোবাদ
১১. বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

পঞ্চকবিঃ
১. বুদ্ধদেব বসু
২. জীবনানন্দ দাস
৩. বিষ্ণু দে
৪. সুধেন্দ্রনাথ দত্ত
৫. অমিয় চক্রবর্তী
এই কবি ও সাহিত্যিকদের সম্পর্কে সব শিখে নিবেন । বিশেষ করে বাংলা অংশে বাংলা ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন বেশি আসে । আমাদের অনেকেই বাংলা ব্যাকরণ কম পড়ি ও না বুঝে মুখস্থ করি যার ফলে ব্যাকরণ থেকে আসা প্রশ্ন সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারিনা ।


ইংরেজি 

গ্রামারের সকল নিয়ম খুঁটিনাটি ও ব্যাতিক্রম অংশগুলো জানতে হবে । বিশেষকরে Sentence, Parts of Speech, Tense, Voice, Narration, Gender, synonym, antonym ইত্যাদি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আর কিছু বাক্য অনুবাদ পড়তে হবে ।
ইংলিশ গ্রামারের কিছু ভালো বই High School English Grammar, Advanced English Grammar, Basic English Grammar, Essential English Grammar.



 Most Important Topics For English

Noun, Verb, Adjective, Adverb, Preposition এই টপিক গুলোর সব পড়তে হবে । Change to– simple, Compound & Complex, Voice Change, Mood, infinitive, participle, gerund, Idioms & Phrases, Correct word, Synonym & antonym, vocabulary. মূলত এই গুলো পড়লেই প্রায় সব উত্তর দিতে সহজ হবে ।
প্রশ্ন এনালাইসিস করলে দেখা যায় বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরে ফিরে বার বার আসে তাই পূর্বের প্রশ্নের ধারা অনুযায়ী পড়তে হবে ।




গণিতে


 খুবই মনযোগী ও পাকা হতে হবে । বিগত প্রশ্নগুলোতে দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু অধ্যায়ের গণিত প্রশ্নপত্রে আসে ।  ৪র্থ থেকে ৯ম শ্রেণিত গনিত বই সংগ্রহে রাখবেন । এটা সকল চাকুরির জন্য জরুরি ।

পাটি গণিত :
লাভ-ক্ষতি
সুদ-কষা
পিতা-পুত্র
মাতা-কণ্যা
অনুপাত
ঐকিক নিয়ম
সংখ্যার ধারণা
ল.সা.গু, গ.সা.গু.
ভগ্নাংশ
গড়
সময়+গতিবেগ
দূরত্ব
ধারা ও
মানসিক দক্ষতা
থেকে প্রশ্ন আসে ।
বীজ গণিত:
বীজগাণিতীয় রাশি (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ)
সূত্রের প্রয়োগ ও সূত্রাবলীর প্রমাণ
সরল সমীকরণ
উৎপাদকে বিশ্লেষণ
মান নির্ণয়
থেকে প্রশ্ন আসে।

জ্যামিতি:
ত্রিভুজ
চতুর্ভুজ
রম্বস
সামন্তরিক
বৃত্ত ও জ্যামিতি
বিষয়ের খুঁটিনাটি থেকে প্রশ্ন আসে।
তাই এই নির্দিষ্ট অধ্যায়ের অংক গুলো করলে কমন পাওয়া যাবে । আরো সুবিধা হল বইয়ের অংকগুলো হুবুহু আসে আর খুব কম সময়েই দেখা গেছে সংখ্যা পরিবর্তন করে আসতে । সেইক্ষেত্রে নিয়মগুলো আয়ত্তে থাকলে সমস্যা হবেনা । সাথে উদাহরণ এর অংক গুলোও দেখতে পারেন । চাকুরীর পরিক্ষার জন্য বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি MP3 ম্যাথ রিভিউ, Magic Math, প্রফেসর'স গাণিতিক যুক্তি, শর্টকাট ম্যথা, ওরাকল গাণিতিক যুক্তি এখান থেকে যে কোন দুইটা বই শেষ করতে হবে ।



সাধারণ জ্ঞানের
 জন্য ভালো একটা বই সংগ্রহ করতে হবে ।
আজকের বিশ্ব, নতুন বিশ্ব, জ্ঞান সিন্ধু, মেডি জ্ঞান কোষ এগুলোর যে কোন বই কিনে নিবেন সাথে প্রতি মাসের কারেন্ট ওয়ার্ল্ড ও দেশ বিদেশের সাম্প্রতিক তথ্যগুলো জানা থাকতে হবে ।
দেশের মুদ্রা ও রাজধানী, প্রণালী, দেশ-বিদেশের নদী, খাল, বিখ্যাত স্থান, স্থাপনা, বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, বন্দর, জলপ্রপাত, ঐতিহাসিক স্থান, ইতিহাস জড়িত ঘটনাবলী, আবিষ্কার, পুরুস্কার, বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কর্ম, অবদান, ও তাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা সাল এসব থেকেই প্রশ্ন আসে ।

বাংলাদেশ সম্পর্কে 

বাংলাদেশের সৃষ্টির পূর্বের প্রাচীন শাসনামল অর্থাৎ মোঘল আমল, ইংরেজ শাসন আমল ইত্যাদি ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস
ভাষা আন্দোলন
১৯৫৪ সালের নির্বাচন
১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন
১৯৬৮-৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান
১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন
৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতা ঘোষণা
মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলী
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা
পাক বাহিনীর আত্নসমর্পণ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় ।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশে সংগঠিত হওয়া আদমশুমারিতে জনসংখ্যা, নারী পুরুষের সংখ্যা, জন্ম ও মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুর হার ইত্যাদি।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা কোন জেলায় কারা বাস করে, জাতিগোষ্ঠির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, উৎসব, পিতৃপ্রধান / মাতৃপ্রধান জাতি কারা ইত্যাদি।
আদিবাসীদের কারা কারা বাংলাদেশের কোথায় বসবাস করেন । আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার”। বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র ।


অন্যান্য টপিক


অন্যান্য টপিকের অংশ থেকে বিশেষ করে প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন আসে । তাই কম্পিউটার শিক্ষা বইটা সংগ্রহ করতে পারেন । প্রযুক্তি বিষয় তথ্যগুলো পড়তে হবে । কম্পিউটারের গঠন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, সোসাইল সাইট, কেনা বেচার চাইট, ও এদের সাথে যুক্ত ব্যাক্তি, নেটওয়ার্ক, সংখ্যা ধারনা, ডিভাইস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে ।

 " বিসিএস (প্রিলি.) প্রস্তুতি"


পর্ব-১ : সার্বিক প্রস্তুতিকৌশল


বিসিএস ক্যাডার বাংলাদেশে বহুল পরিচিত একটি শব্দের নাম। এটি এমন একটি শব্দ, যার জন্য এদেশের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী তাদের ছাত্র জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করে ফেলছে! তবুও সবাই আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছে না! এর প্রধান কারণ- কৌশলের অভাব ও সময়ের পড়াশোনা সময়মত না করা। মনে রাখবেন, আপনি যদি কোন বিষয়ে সফল হতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ঐ বিষয়ে সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতার কারণগুলোও জানতে হবে। 


♦কিভাবে পড়বেন?


-প্রথমে ১০-শেষ বিসিএস (প্রিলি.)-র প্রশ্নগুলো সমাধান করে ফেলবেন।


-বিশেষ করে ৩৫-শেষ বিসিএস (প্রিলি.)-র প্রশ্নগুলো ভালো করে analysis করবেন। অর্থাৎ কোন type question হয়! তা ভালো করে বোঝার চেষ্টা করবেন।


-পড়ার সময় সর্বদা সিলেবাস follow করবেন।


-কোন বিষয়ে দুর্বলতা থাকলে ঐ বিষয় দিয়ে পড়া শুরু করবেন। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্ররা Bangla literature ও English literature এবং অন্যান্য বিভাগের ছাত্ররা Math ও Science দিয়ে শুরু করবেন। কারণ কোন বিষয়ের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠলে আপনার confidence level অনেক গুনে বেড়ে যাবে।


-সাধারণ জ্ঞান সবার শেষে পড়বেন।


♦কি কি বই পড়বেন?


★বাংলা: 

১. George's Bangla mp3

২. শীকর বাংলা প্রশ্ন-পাঠ 

৩. লাল নীল দীপাবলি 

৪. ৯ম-১০ম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র


(বি.দ্র.

-'শীকর বাংলা প্রশ্ন-পাঠ' থেকে ব্যাখ্যাসহ প্রশ্নাবলী ভালভাবে পড়বেন।

-'লাল নীল দীপাবলি' থেকে শুধুমাত্র প্রাচীনযুগ ও মধ্যযুগের সাহিত্য পড়বেন।

 -১০-৩৮তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশের প্রশ্নাবলী সমাধান করে ফেলবেন)


★ইংরেজি:

১. Master English Grammar

২. An ABC English Literature 

৩. Miracle English Literature

৪. Vocabuilder (for Vocabulary) 


[ বি.দ্র. Grammar অংশে identification of parts of speech, voice change, Sentence correction, Simple/Complex/Compound Sentence, Right forms of verb, Clause, Synonym, Antonym, Spelling, Singular/Plural Word, Preposition, Classification of Noun, Classification of Pronoun, Phrase ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন।


Literature অংশে English literary periods & writers, Literary terms,books of writers, Quotation, male-female writers, nobel laureates,title of different writers ইত্যাদি ভাল করে পড়তে হবে। ]


★গনিত ও মানসিক দক্ষতা:

১. Khairul's Basic Math

২. George's mental ability


[ বি.দ্র. ১০ম-৩৮তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার মানসিক দক্ষতার প্রশ্নাবলী সমাধান করে ফেলবেন। ]


★বাংলাদেশ বিষয়াবলী:

১. George's mp3

২. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

৩. অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৯

৪. ৯ম-১০ম শ্রেণীর ইতিহাস বই (সিলেবাসের টপিক দেখে দেখে পড়বেন)


[বি. দ্র. : অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও সংবিধান অংশ অবশ্যই ভাল করে পড়বেন। এই ২ টি অংশ থেকে ৫ নাম্বার কমন পাবেন! ইনশাআল্লাহ।]


★আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী:

১. George's mp3


[ বি.দ্র. : ১০ম-৩৮তম বিসিএস (লিখিত) পরীক্ষার short question গুলো ভাল করে পড়বেন। 


Recent issues যেমন: কাতার ইস্যু, সিরিয়া ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, মালদ্বীপ ইস্যু, ইয়েমেন ইস্যু, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া ইস্যু, চীন-যুক্তরাষ্ট্র ইস্যু, GCC, AIIB, NDB, BRICS, USA, CHINA, INDIA, WB, UN, UNESCO, NATO, EU, যুদ্ধ, পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিভিন্ন নীতি,  ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন ]


★বিজ্ঞান:

১. প্রফেসর'স বিজ্ঞান গাইড

২. Easy computer

৩. ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বই


[ বি.দ্র. Computer অংশে কম্পিউটারের প্রকারভেদ, বিভিন্ন অংশ, প্রজন্ম, Input-Output device, Email, Gmail, Amazon, Yahoo, YouTube, Instagram, Google+, Twitter, Android, Apple, Microsoft, IBM, Transistor, IC, Mouse, Skype, Linkedin, Operating system, LAN, MAN, WAN, RAM, ROM, 3G, 4G, Language, Language translator, Binary system, System software, Application software, WWW, Internet, Virus, Web browsers, Web page, Logic gate, Operating System ইত্যাদি ভাল করে পড়বেন ] 


★ভূগোল ও দুর্যোগ:

১. অ্যাসিওরেন্স গাইড

২. ৯ম-১০ম শ্রেণীর ভূগোল বই


★নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসন:

১. অ্যাসিওরেন্স গাইড


♦কিছু পরামর্শ:


-বিসিএস (প্রিলি.)-র জন্য পেপার পড়া বাধ্যতামূলক নয়।


-টার্গেট নিয়ে study করবেন। অর্থাৎ কোন বিষয় (যেমন: বাংলা সাহিত্য) পড়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান দিন নির্ধারণ করে নিবেন। ঐ সময়ে অন্য কোন বিষয় পড়বেন না।


-সর্বদা positive mind নিয়ে পরীক্ষা দিবেন।


-Bangladesh Awami league এর official page এ like দিয়ে প্রাত্যহিক তথ্যগুলো দেখে নিবেন।


|| ধন্যবাদ ||




শুভকামনায়,

-মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী

-সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

-মেধাক্রম-৭ম,

-৩৬তম বিসিএস।

দুটি সেক্টরের চাকরির পরীক্ষা কাছাকাছি সময়ে হলে চাকরিপ্রার্থীরা বুঝে উঠতে পারেন না কী করা উচিত। বিসিএসের প্রস্তুতি

নেবেন, নাকি ব্যাংকের চাকরির? অনেকে একসঙ্গে দুই সেক্টরের প্রস্তুতিই নিতে চান। আসলে কী করা উচিত সে ব্যাপারে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও ৩৮তম বিসিএসে (সাধারণ শিক্ষা) সুপারিশপ্রাপ্ত মো. আব্দুল আউয়াল। বিস্তারিত জানাচ্ছেন- এম এম মুজাহিদ উদ্দীন একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা ? 

করোনা পরিস্থিতি সামলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সামনে আরো পরীক্ষা হতে যাচ্ছে । বিসিএস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির এটাই মোক্ষম সময় । করোনার কারণে এ বছর বিভিন্ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি কম প্রকাশিত হয়েছে এবং নিয়মিত নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে আছে। ফলে চাকরিপ্রত্যাশীদের মাঝে উৎকণ্ঠা থাকলেও সবার উচিত নিজেকে যথাযথ প্রস্তুত রাখা । করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসামাত্রই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কাছাকাছি সময়ে আরো অনেক সরকারি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । এমন পরিস্থিতিতে চাকরিপ্রত্যাশী অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান এই ভেবে যে কোনটির প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরির প্রস্তুতি এবং বিসিএসের প্রস্তুতি একসঙ্গে নেওয়া উচিত বা ঠিক হবে কি না? আমি মনে করি, ব্যাংক ও বিসিএসের প্রস্তুতি সাংঘর্ষিক নয়। দুটির প্রস্তুতি একসঙ্গেই নেওয়া উচিত। কারণ ব্যাংক ও বিসিএসের প্রস্তুতি অনেক ক্ষেত্রেই একে অপরের পরিপূরক। সমন্বিত প্রস্তুতি যে কারণে: যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না এবং দেশের চাকরির বাজার নানা কারণে বৈচিত্র্যহীন হওয়ায় অনেক বেশি প্রতিযোগী ব্যাংক ও বিসিএসের পরীক্ষায় অংশ নেন। বিসিএসে নিয়োগপ্রক্রিয়াসহ নানা ধরনের জটিলতার কারণে নিয়োগ বিলম্বিত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে তিন বছরের বেশি সময় লেগে যায়। এই দীর্ঘ সময় বেকার বসে থাকা আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সম্ভব হয় না। ব্যাংকের চূড়ান্ত নিয়োগপ্রক্রিয়া সাধারণত তুলনামূলক কম সময়ে হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে আর চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন হয় ২১ আগস্ট ২০১৯। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হতে দুই বছরের বেশি সময় লেগেছে। অন্যদিকে ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০ জুন ২০১৭ তারিখে আর ৩০ জুন ২০২০ তারিখে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশিত হলেও চূড়ান্ত নিয়োগ এখনো সম্পন্ন হয়নি। নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হতে আরো কয়েক মাস লাগতে পারে। কাছাকাছি মানের দুটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি এক মাসের ব্যবধানে প্রকাশিত হলেও বিসিএসের নিয়োগ পেতে প্রায় দেড় বছর বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ আরো দ্রুত সম্পন্ন হয়। তাই বিসিএসের প্রস্তুতির পাশাপাশি ব্যাংকের চাকরির প্রস্তুতিও নেওয়া উচিত বলে মনে করি। প্রস্তুতিতে মিল-অমিল বিসিএস ও ব্যাংকের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান এক না হলেও পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন প্রায় একই রকম। ব্যাংকে প্রিলিমিনারির পর দ্রুত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীকে অল-আউট পারফরম্যান্স করতে হবে। পরীক্ষায় প্রার্থীদের মধ্যে খুব অল্প নম্বরের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় বা কেউ কেউ অল্প নম্বরের জন্য বাদ পড়েন। তাই লেখার মান ধরে রেখে সব প্রশ্নের উত্তর করা উচিত। অন্যদিকে বিসিএস লিখিত পরীক্ষা হয় পাঁচ দিনব্যাপী (সাধারণ ক্যাডার মোট ২১ ঘণ্টা, পেশাগত ক্যাডার ২৪ ঘণ্টা, উভয় ক্যাডার ২৫ ঘণ্টা)। এখানে একটি বিষয়ে প্রার্থী আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে না পারলেও অন্য বিষয়ের মাধ্যমে তা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগের ভাইভার নম্বরের একটি বিশাল পার্থক্য রয়েছে। বিসিএসের ভাইভায় ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যেখানে ব্যাংকের জন্য ২৫ নম্বর। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে—ব্যাংকের ভাইভার নম্বর কম হলেও তা বিসিএসের ভাইভার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। বিসিএস ও ব্যাংকের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যথাক্রমে ২০০ ও ১০০ নম্বর আর লিখিত পরীক্ষা যথাক্রমে ৯০০ ও ২০০ নম্বরের হয়। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হয় বাংলা, ইংরেজি, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতার ওপর। অন্যদিকে, ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা হয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ওপর। 


বিসিএস ও ব্যাংকে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়—উভয় পরীক্ষায় সমসাময়িক চিন্তা-ভাবনা বা বিষয়সমূহের হালনাগাদকৃত তথ্য, তথ্য বিশ্লেষণ, কোটেশন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষায় কাজে লাগে, যা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতিকালে গুছিয়ে নিলে উভয় পরীক্ষাতেই সমানভাবে কাজে লাগে। বিসিএসের বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বাংলা ও ইংরেজির প্রস্তুতি নিলে তার মাধ্যমে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার ফোকাস রাইটিং অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। আবার উভয় পরীক্ষায় ট্রান্সলেশন ও রিট্রান্সলেশন, বিভিন্ন ধরনের চিঠি বা আবেদনপত্র লিখতে বলা হয়ে থাকে। বিসিএসের বাংলা ও ইংরেজি লিখিত পরীক্ষার রচনার জন্য পড়লে এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহে রেখে আত্মস্থ করলে তা দিয়ে খুব সহজেই ব্যাংকের বাংলা ও ইংরেজি ফোকাস রাইটিং অংশ উতরে যাওয়া যায়।৯ গণিতে বাড়তি নজর গণিত অংশের দিকে নজর দিলে দেখা যায়—ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত কোনো সিলেবাস নেই। তাই বিসিএসের জন্য যে সিলেবাস দেওয়া আছে, তার প্রায় সব টপিক ব্যাংকের জন্যও সমাধান করতে হয়। বিসিএস বা ব্যাংকে একই ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। উভয় পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। ব্যাংকে চাকরির প্রস্তুতির জন্য আগারওয়ালের বই কিংবা ওয়েবসাইটভিত্তিক কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারলে খুব ভালো হয়, যা বিসিএস পরীক্ষায়ও কাজে আসবে। এ ছাড়া মানসিক দক্ষতার ওপর বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় যথাক্রমে ১৫ ও ৫০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। তবে ব্যাংকের পরীক্ষায় এ অংশ থেকে সাধারণ দু-একটি প্রশ্ন আসে। তথ্যই শক্তি: বিসিএস ও ব্যাংক উভয় চাকরির পরীক্ষায় সফলতার জন্য তথ্যবহুল লেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যানবেইস, ইউএনডিপি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক বার্ষিক রিপোর্ট, পরিসংখ্যান ব্যুরো, আদমশুমারির রিপোর্ট প্রভৃতি উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ উভয় নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় কাজে লাগাতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞানের জন্য যথাক্রমে ১৫ ও ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে, যা ব্যাংকের জন্য পড়তে হয় না। একই সঙ্গে প্রস্তুতি: 








আমার পরামর্শ হলো—ব্যাংক ও বিসিএসে একই সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। কারণ নিয়োগ পরীক্ষাগুলো সাধারণত খুব কাছাকাছি সময়ে বা কিছুটা আগে-পরে হয়। তাই একটায় যদি উত্তীর্ণ নাও হন, অন্যটির সুযোগ থাকবে। আমার মতে, ব্যাংকের চাকরিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কারণ বিসিএসের প্রক্রিয়া শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ ছাড়া ব্যাংকের ক্যারিয়ার গ্রোথটাও ভালো। সম্প্রতি প্রকাশিত ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার ফল থেকে দেখা যায়—বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এখন নিজের ক্যারিয়ার ভাবনা, পোস্টিং, বেতন, কাজের ধরন, সামাজিক প্রেক্ষাপট, কাজের চাপ, ব্যক্তিগত ভালো লাগা অনুযায়ী কেউ ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেবেন, না হয় ব্যাংকার হিসেবে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যদিও ব্যক্তিগত ভালো লাগা, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিজের ক্যারিয়ার গঠনের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়, তার পরও সামগ্রিক চাকরির বাজার এবং দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাংক ও বিসিএসের প্রস্তুতি যুগপৎ নেওয়ার পক্ষে আমার পরামর্শ থাকবে। 
-দৈনিক কালের কণ্ঠ

 প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই  । তাই যাদের কম পড়া হইছে বা যারা কাজের মধ্যে থেকে পড়াশোনা করেন তারা এই টপিকগুলো যত দ্রুত সম্ভব পড়ে ফেলুন  । সাধারনত এগুলোর বাইরে প্রশ্ন হয় না তাই দেরি না করে এই সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো পড়ুন  ।


গণিত -

 প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার গণিত বিষয়ে একদম ব্যাসিক MCQ আসে যারা টিউশুনি করেন তারা সহজেই পারবেন  । শুধু একটু চর্চা করতে থাকবেন  । যারা টিউশুনি করেন না  তাদের করতে হবে  । মনে রাখবেন সারাদিন পড়ার দরকার নেই যা করবেন একটু বুঝে করবেন  । একদম অবিকল কমন পাবার আশা করবেন না  । নিয়ম শিখবেন তাহলে এমনিতেই পারবেন  ।

১.অনুপাত ও গড়
২.নৌকা ও স্রোতের অংক

৩.মিশ্রণের অংক

৪.কাজের অংক (ঐকিক নিয়ম )

৫.লাভ ক্ষতি

৬.শতকরা, সুদকষা

৭.মান নির্ণয় ও সেট (বীজগণিত)

৮.উৎপাদক (বীজগণিত)

৯.পিতা ও পুত্র

১০.সমান্তর ধারা ও গুণোত্তর ধারা

১১.চৌবাচ্চার অংক

১২.জ্যামিতিঃ রেখা, কোন, বৃত্ত, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বহুভুজ, ট্রাপিজিয়াম ইত্যাদি করতে পারেন ।

কোন বই পড়বেন -  ক্লাস সিক্স-এইটের গণিত, জর্জ ম্যাথ রিভিউ (MP3), খাইরুলস বেসিক ম্যাথ (দু্র্বলদের জন্য) । এছাড়াও যার যার পছন্দমাফিক বই কিনে নিতে পারেন ।

ইংরেজি



i.    SENTENCE

ii.   PARTS OF SPEECH (NOUN, ADJECTIVE, ADVERB, PREPOSITION, VERB)

iii.  Time And Tense

iv.   VOICE

v.    NARRATION

vi.   CORRECTION

vii.  SPELLING

viii. NUMBER

ix.   GENDER

x.    SYNONYMS - ANTONYMS

xi.   PHRASE & IDIOMS

xii.  WORD MEANING

xiii. CONDITIONALS

এগুলোর বাহিরে প্রশ্ন হবে না। ENGLISH FOR COMPETITIVE EXAMS বইয়ে চাপটার ওয়াইজ বিষয়গুলো পাবেন। অন্য যেকোন বইও ফলো করতে পারেন।

 বাংলা 


অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে বাংলা তুলনামূলক কঠিন । কারন বাংলা বিষয়ের টপিক বেশি আর এগুলো শেষ করতেও বেশি সময় লাগে তাই যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বাংলা পড়তে হয় । সময় থাকতে বংলা বিষয়েটি ভালো করে পড়ে ফেলবেন  । সাধারণত নিচের উল্লেখিত অধ্যায় থেকে বেশি বেশি প্রশ্ন হয় সেজন্য এই কয়টা অধ্যায় থেকে শতভাগ কমন পাবেন, এর বাইরে প্রশ্ন হবে না ।


১. লিঙ্গ

২. কাল

৩. ভাষা

৪. উপসর্গ

৫. এককথায় প্রকাশ

৬. কারক ও বিভক্তি

৭. সমাস

৮. অনুসর্গ

৯. বানান শুদ্ধি

১০. সন্ধি বিচ্ছেদ

১১. সমার্থক শব্দ

১২. বিপরীত শব্দ

১৩. বাগধারা

১৪. ণত্ব ও ষত্ব বিধা

১৫. প্রকৃতি ও প্রত্যয়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর /কাজী নজরুল ইসলাম সহ গুরুত্বপুর্ণ সকল সাহিত্যিক ও লেখক
এই টপিকস গুলো পড়লে সাধারণত প্রশ্ন মিস হবে না


সাধারণ জ্ঞান

 Important MCQ 

Part - 01

১। বাংলাদেশে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কখন থেকে চালু হয়.?

-- ১ জানুয়ারি, ১৯৯২

২। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয় কোন সালে.?

-- ১৯৭৪ সালে।

৩। কতজন সদস্যের সমন্বয়ে আকরাম খান শিক্ষা কমিটি গঠিত হয়.?

-- ১৭ জন।

৪। বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন কোনটি.?

-- কুদরাত- এ - খুদা শিক্ষা কমিশন।

৫। প্রাথমিক শিক্ষার বয়সসীমা--

-- ৬ থেকে ১১ বছর।

৬। বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিতের হার কত.?

-- ৭১%

৭। প্রাথমিক স্কুলে ৬০% বা আরো অধিক হারে মহিলা শিক্ষক নিয়োগের পক্ষে প্রধান যুক্তি কোনটি.?

-- মহিলারা শিশুদের প্রতি বেশি স্নেহশীল।

৮। বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কুলে বছরে কত ঘণ্টা পড়ানো হয়.?

-- ৫৪৪ ঘন্টা।

৯। প্রাথমিক শিক্ষা (বাধ্যতামূলক) আইন কোন সালে পাস হয়.?

-- ১৯৯০ সালে।

১০। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান সমস্যা কোনটি.?

-- ছাত্র-ছাত্রীদের

ঝরে পড়া।

১১। প্রাথমিক স্থরে ধর্ম বই পড়ানো হয় কোন শ্রেণী থেকে.?

-- ৩য় শ্রেণী থেকে।

১২। সর্বশেষ প্রতিষ্টিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কোনটি...?

-- ময়মনসিংহ।

১৩। এইচ এস সি ও আলিম পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হয় কবে থেকে.?

-- ২০০৩ সালে।

১৪। এস এস সি পরীক্ষা কবে থেকে লেটার গ্রেডিং পদ্ধতিতে আনা হয়েছে.?

-- ২০০১ সালে।

১৫। বাংলাদেশ 'কারিগরি শিক্ষা বোর্ড' চালু হয় কবে.?

-- ১৯৫৪ সালে।

১৬। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু হয় কবে.?

-- ২০০২ সালে।

১৭। বর্তমান শিক্ষার কয়টি ধারা প্রচলিত আছে.?

-- ৩ টি।

১৮। জাতীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সংক্ষিপ্ত নাম কি.?

-- NAEM

১৯। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত.?

-- গাজীপুর।

২০। বর্তমানে বাংলাদেশে পি টি আই (PTI) মোট কয়টি.?

-- মোট ৫৮ টি। এর মধ্যে ৫৬টি সরকারি এবং ২টি বেসরকারি।

Collected....
Content Updating..
বাংলা ব্যাকরণ সমাস এর সহজ সমাধান
বিসিএস এর জন্য বাংলা ব্যকরণ থেকে ১০০টি সেরা এমসিকিউ ক্যালেকশন
বিগত ব্যাংক, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার "যুক্তবর্ণ ( চাকরির পরিক্ষা - ২০১৫ - ২০২০ )
কারক কি ? কত প্রকার ? কারক চেনার সহজ উপায় ? ব্যাবহার ও প্রয়োগ ।
সকল ভাষার শব্দগুলো সহজে মনে রাখার কৌশল
সহজভাবে সবগুলো বাংলা উপসর্গ
একই নামের বাংলা সাহিত্যকর্মসমূহ - এগুলো পরিক্ষার হলে বেশি সময় নষ্ট করে দেই
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সকল দিবস সমূহ দেখে নিন
BCS preliminary Bangla supplement - গুরুত্বপূর্ণ ৩০০টি বাগধারা
বিসিএস এর জন্য বাছাইকৃত সেরা ১০০ টি প্রশ্ন

Content Updating..
বাংলা ব্যাকরণ সমাস এর সহজ সমাধান
বিসিএস এর জন্য বাংলা ব্যকরণ থেকে ১০০টি সেরা এমসিকিউ ক্যালেকশন
বিগত ব্যাংক, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার "যুক্তবর্ণ ( চাকরির পরিক্ষা - ২০১৫ - ২০২০ )
কারক কি ? কত প্রকার ? কারক চেনার সহজ উপায় ? ব্যাবহার ও প্রয়োগ ।
সকল ভাষার শব্দগুলো সহজে মনে রাখার কৌশল
সহজভাবে সবগুলো বাংলা উপসর্গ
একই নামের বাংলা সাহিত্যকর্মসমূহ - এগুলো পরিক্ষার হলে বেশি সময় নষ্ট করে দেই
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সকল দিবস সমূহ দেখে নিন
BCS preliminary Bangla supplement - গুরুত্বপূর্ণ ৩০০টি বাগধারা
বিসিএস এর জন্য বাছাইকৃত সেরা ১০০ টি প্রশ্ন

BCS Special!

  1. আমেরিকা
  2. ইতালি
  3. ইংল্যান্ড
  4. জাপান
  5. জার্মানি
  6. কানাডা
  7. ফ্রান্স
* গঠিত হয় - ১৫ নভেম্বর ১৯৭৫

  1. 1. UK
  2. 2. USA
  3. 3. France
  4. 4. Russia
  5. 5. China
সহজে মনে রাখতে পারেন - UUFRC (৫টি দেশের ১ম বর্ণ মনে রাখুন)

  1. ১.আরবি
  2. ২.ইংরেজি
  3. ৩.মান্দারিন
  4. ৪.স্পানিশ
  5. ৫.রুশ
  6. ৬.ফরাসি

  1. ১.বাংলাদেশ
  2. ২.ভারত
  3. ৩.নেপাল
  4. ৪.ভূটান
  5. ৫.শ্রীলংকা
  6. ৬.মিয়ানমার
  7. ৭.থাইল্যান্ড
সদর দপ্তর ঢাকা (প্রতিষ্ঠিত - ৬ জুন ১৯৯৭)

  • Google
    • প্রতিষ্ঠাতা Sergey brin & Larry page
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় Sept 4, 1998)
  • Yahoo
    • প্রতিষ্ঠাতা David filo & Jerry yang
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় March 1994)
  • Wikipedia
    • প্রতিষ্ঠাতা Jimmy Wales & Larry Sanger
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় Jan 15, 2001)
  • Amazon
    • প্রতিষ্ঠাতা বেস জোসেফ
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় 1994)
  • YouTube
    • প্রতিষ্ঠাতা Jawed karid, Steve chen & Chad Harley
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় Feb 14, 2005)
  • Twitter
    • প্রতিষ্ঠাতা Evan Williams Biz Stone & Jack Dorsey
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় March 21, 2006)
  • Facebook
    • প্রতিষ্ঠাতা Mark Zucherberg, Chris Hughes
    • (প্রতিষ্ঠিত হয় Feb 4,2004)

    ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ২৫ টি
  1. ১ থেকে ১০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০৪ টি (২,৩,৫,৭)
  2. ১১ থেকে ২০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০৪ টি (১১,১৩,১৭,১৯)
  3. ২১ থেকে ৩০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০২ টি (২৩,২৯,)
  4. ৩১ থেকে ৪০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০২ টি(৩১,৩৭)
  5. ৪১ থেকে ৫০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০৩ টি (৪১,৪৩,৪৭)
  6. ৫১ থেকে ৬০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০২ টি(৫৩,৫৯)
  7. ৬১ থেকে ৭০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০২ টি(৬১,৬৭)
  8. ৭১ থেকে ৮০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০৩ টি (৭১,৭৩,৭৯)
  9. ৮১ থেকে ৯০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০২ টি (৮৩, ৮৯)
  10. ৯১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা = ০১ টি (৯৭)
আপনি এইভাবে মনে রাখতে পারেন ৪৪২২৩২২৩২১
১-১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যাগুলোর যোগফল ১০৬০

  1. ০১ মাস পূর্তি -মাসিক
  2. ০৩ মাস পূর্তি-ত্রৈমাসিক
  3. ০৬ মাস পূর্তি -ষান্মাসিক
  4. ০১ বছর পূর্তি -বাৎসরিক/ বার্ষিক
  5. ১০ বছর পূর্তি -এক দর্শক
  6. ১২ বছর পূর্তি -এক যুগ
  7. ২৫ বছর পূর্তি -রজতজয়ন্তী
  8. ৪০ বছর পূর্তি -রুবি জয়ন্তী
  9. ৫০ বছর পূর্তি -সুবর্ণ জয়ন্তী
  10. ৬০ বছর পূর্তি -হীরক জয়ন্তী
  11. ৭৫ বছর পূর্তি -প্লাটিনাম জয়ন্তী
  12. ১০০ বছর পূর্তি -শতবার্ষিকী
  13. ১৫০ বছর পূর্তি -সার্ধশত বার্ষিকী
  14. ২০০ বছর পূর্তি -দ্বিশত বার্ষিকী
  15. ৩০০ বছর পূর্তি -ত্রিশত বার্ষিকী
  16. ১০০০ বছর পূর্তি- সহস্রাব্দ


পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি-সাহিত্যিক!

১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে (জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম।

  1. জন্মগ্রহন - ২৪ মে ১৮৯৯ সালে (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)
  2. মৃত্যুবরন করেন -২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ)
  3. তিনি রণসঙ্গীতের রচয়িতা
  4. আনন্দময়ীর আগমনে কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি গ্রেফতার হন
  5. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সঞ্চিতা রচনাটি উৎসর্গ করেন
  6. প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম - ব্যথার দান ( ১৯২২)
  7. প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম - মুক্তি
  8. প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম - অগ্নিবীনা
  9. নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো -
    • সন্ধ্যা, নতুন চাঁদ , ছায়ানট, প্রলয় শিখা , অগ্নিবীনা ,সাত ভাই চম্পা, , সিন্দুহিন্দোল, ফনিমনসা, চক্রবাক, সর্বহারা,ঝড় হাওয়া, জিঞ্জির, সাম্যবাদী, মরুভাস্কর, শেষ সওগাত , ঝিঙ্গেফুল, বিষের বাশিঁ , দোলনচাঁপা
  10. উপন্যাসগুলো - বাঁধনহারা, কুহেলিকা ও মৃত্যুক্ষুধা
  11. গল্পগ্রন্থগুলোর নাম - শিউলিমালা, ব্যথারদান ও রিক্তের বেদন
  12. কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে প্রথম ঢাকায় আসেন - ১৯২৬ সালে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।

  1. প্রথম কবিতা প্রকাশিত - তের বছর বয়সে
  2. প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম - বাল্মীকি প্রতিভা।
  3. প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থে উপন্যাসের নাম - বৌ ঠাকুরাণীর হাট।
  4. প্রথম প্রকাশিত ছোট গল্পের নাম - ভিখারিনী।
  5. বাংলা ছোট গল্পের জনক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  6. ছদ্মনাম - ভানুসিংহ ঠাকুর
  7. গীতাঞ্জলি কাব্য প্রকাশিত - ১৯১০ সালে
  8. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থগুলো
    • ভানুসিংহ, গীতাঞ্জলি, , প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা সংগীত , বিচিত্রা, পূরবী,, পত্রপুট, শ্যামলী, মহুয়া, সোনার তরী , খেয়া, হিন্দুমেলার উপহার , ক্ষণিকা, নবজাতক, নৈবেদ্য, জন্মদিন, রোগশয্যা, আরোগ্য , কণিকা, চৈতালি, চিত্রা, মানসী, বনফুল, মায়ার খেলা , ছবি ও গান , বলাকা, সানাই , গীতালি, কল্পনা, কড়ি ও কোমল ও শেষ লেখা
  9. শেষ লেখাটি পুত্রকে উৎসর্গ করেন
  10. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলো
    • শেষের কবিতা, যোগাযোগ, চোখের বালি, গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে বাইরে ও চার অধ্যায়
  11. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকগুলো
    • বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা, রক্তকবরী ও তাসের দেশ
  12. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতবার ঢাকায় আসেন - ২ বার

১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলা প্রেসিডেন্সির যশোর জেলার (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার) সাগরদাঁড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু কায়স্থ পরিবারে মধুসূদন দত্তের জন্ম হয়।

Under construction process...

জসীম উদ্‌দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মোহাম্মাদ জসীম উদ্‌দীন মোল্লা তার পূর্ণ নাম হলেও তিনি জসীম উদ্‌দীন নামেই পরিচিত। ১৯৬৯ সনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করেন।

  • উপাধি কি? উঃ পল্লীকবি।
  • জসীমউদদীন ছাত্র থাকা অবস্থায় তাঁর কোন কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পাঠ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়? উঃ কবর কবিতা।
  • কবর কবিতাটি জসীমউদদীনের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত? উঃ রাখালী।
  • জসীমউদদীনের কবর কবিতাটি কোন পত্রিকায় ছাপা হয়? উঃ কল্লোল পত্রিকায়।
  • বিখ্যাত কাব্যগ্রনথগুলো-
    • রঙ্গিলা নায়ের মাঝি , হাসু, রুপবতী, সকিনা, রাখালীকে, বালুচরের, সোজান বাদিয়ার ঘাটে , মাটির কান্না , নকশী কাঁথার মাঠের ও এক পয়সার বাঁশি।
  • রচিত নাটকগুলো -
    • পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধু ও গ্রামের মায়া
  • জসীমউদদীনের রচিত একমাত্র উপন্যাসের নাম কি? উঃ বোবা কাহিনী।
  • নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়? উঃ ১৯২৯ সালে।
  • নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদের নাম কি? উঃ ‘Field of the Embroidery Quilt’
  • নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদকের নাম কি? উঃ ই. এম. মরফোর্ড।
  • জসীমউদদীনের ছদ্মনাম কি? জমীরউদ্দীন মোল্লা।
  • জসীমউদদীন কত সালে একুশে পদক পান? উঃ ১৯৭৬ সালে।

Under construction process...

Under construction process...

Under construction process...

Under construction process...


Important দিবস সমূহ !

জানুয়ারি 
  • জাতীয় শিক্ষক দিবস : ১৯ জানুয়ারি
  • বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস : ১০ জানুয়ারি
  • শহীদ আসাদ দিবস : ২০ জানুয়ারি
  • গণঅভ্যুত্থান দিবস : ২৪ জানুয়ারি
  • কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস : ২৫ জানুয়ারি
  • সলঙ্গা দিবস : ২৭ জানুয়ারি

ফেব্রুয়ারি 
  • শহীদ দিবস : ২১
  • সুন্দরবন দিবস : ১৪ ফেব্রুয়ারি
  • জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস : ২৮ ফেব্রুয়ারি

মার্চ
  • স্বাধীনতা দিবস : ২৬ মার্চ
  • শিশু দিবস : ১৭ মার্চ
  • জাতীয় পতাকা দিবস : ২ মার্চ
  • জাতীয় পাট দিবস : ৬ মার্চ
  • পতাকা উত্তোলন দিবস : ২৩ মার্চ
  • জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস : ৩১ মার্চ

এপ্রিল
  • পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ : ১৪ এপ্রিল
  • জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস : ২ এপ্রিল
  • মুজিবনগর দিবস : ১৭ এপ্রিল
  • জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস : ২৮ এপ্রিল

মে
  • মহান মে দিবস : ১ মে
  • ফারাক্কা লংমার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস : ১৬ মে
  • জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস : ২৩ মে
  • নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস : ২৮ মে

জুন 
  • ছয় দফা দিবস : ৭ জুন
  • নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন
  • পলাশী দিবস : ২৩ জুন

জুলাই
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস : ১ জুলাই
  • জন্ম নিবন্ধন দিবস : ৩ জুলাই

আগস্ট
  • দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট
  • জাতীয় শোক দিবস : ১৫ আগস্ট

সেপ্টেম্বর
  • মহান শিক্ষা দিবস : ১৭ সেপ্টেম্বর
  • কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস : ১৮ সেপ্টেম্বর
  • প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস : ২৩ সেপ্টেম্বর
  • মাহমুদ পুর গণহত্যা দিবস: ২৯ সেপ্টেম্বর

অক্টোবর
  • পথশিশু দিবস বা সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবস : ২ অক্টোবর
  • শিক্ষক দিবস : ৫ অক্টোবর
  • কন্যা শিশু দিবস : ১১ অক্টোবর
  • নিরাপদ সড়ক দিবস : ২২ অক্টোবর

নভেম্বর
  • জাতীয় যুব দিবস : ১ নভেম্বর
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস : ৭ নভেম্বর
  • নূর হোসেন দিবস বা স্বৈরাচার বিরোধী দিবস: ১০ নভেম্বর
  • সশস্ত্রবাহিনী দিবস : ২১ নভেম্বর
  • জাতীয় আয়কর দিবস : ৩০ নভেম্ববর
  • জাতীয় সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার
  • জেলহত্যা দিবস : ৩ নভেম্বর
  • জাতীয় সমবায় দিবস : প্রথম শনিবার
  • জেলহত্যা দিবস : ৩ নভেম্বর
  • সংবিধান দিবস : ৪ নভেম্বর

ডিসেম্বর
  • বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস : ১৪ ডিসেম্বর
  • মুক্তিযোদ্ধা দিবস : ১ ডিসেম্বর
  • স্বৈরাচার পতন দিবস বা সংবিধান সংরক্ষণ দিবস : ৬ ডিসেম্বর
  • জাতীয় যুব দিবস : ৮ ডিসেম্বর
  • রোকেয়া দিবস : ৯ ডিসেম্বর

জানুয়ারিঃ
দিন দিবস সমূহ
বিশ্ব পরিবার দিবস
বিশ্ব যুদ্ধ অনাথ শিশু দিস (World Day War Orphans )
১০ শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
১৯ জাতীয় শিক্ষক দিবস
২০ শহীদ আসাদ দিবস
২৪ গণ অভ্যুত্থান দিবস
২৫ কম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস
২৬ আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস
২৭ আন্তর্জাতিক হলোকস্ট স্মরণ দিবস
২৮ তথ্য সুরক্ষা দিবস (Data Protection Day), সলঙ্গা দিবস
---- জানুয়ারি শেষ রবিবার আন্তর্জাতিক কুষ্ঠ দিবস

ফেব্রুয়ারিঃ
দিন দিবস সমূহ
বিশ্ব জলাভূমি দিবস
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস
কাশ্মীর দিবস
International Day against Female Genital Mutilation
১২ ডারউইন দিবস এবং বিশ্ব রোগী দিবস (World Day of the Sick)
১৪ (i)ভ্যালেন্টাইন’স ডে,
(ii)সুন্দরবন দিবস
১৫ বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস
২০ বিশ্ব সামাজিক বিচার দিবস (World Day of Social Justice)
২১ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
২২ বিশ্ব স্কাউট দিবস
২৩ বিশ্ব শান্তি ও সমঝোতা দিবস
২৪ আল কুদস দিবস
২৮ ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস

মার্চঃ
দিন দিবস সমূহ
জাতীয় পতাকা দিবস
বিশ্ব বই দিবস
বিশ্ব যৌন নিপীড়ন বিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক নারী দিবস
১১ রাষ্ট্রভাষা দিবস
১৩ আন্তর্জাতিক রোটারী দিবস
১৪ (i)আন্তর্জাতিক নদী রক্ষা দিবস,
(ii) বিশ্ব পাই (π) দিবস
১৫ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস, পঙ্গু দিবস
১৭ (i) বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন,
(ii) জাতীয় শিশু দিবস
২০ বিশ্ব শিশু ও যুব থিয়েটার দিবস
২১ (i)বিশ্ব নিদ্রা দিবস (World Sleep Day),
(ii)বিশ্ব বনায়ন দিবস,
(iii) আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ দিবস
২২ বিশ্ব পানি দিবস
২৩ (i)বিশ্ব আবহাওয়া দিবস,
(ii) পতাকা উত্তোলন দিবস
২৪ (i)বিশ্ব যক্ষা দিবস,
(ii)আন্তর্জাতিক আর্কাইভ দিবস
২৫ দাসপ্রথার শিকার এবং ট্রান্সআটলান্টিক দাস বাণিজ্যের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস
২৬ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস
২৭ বিশ্ব নাটক দিবস
৩১ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা দিবস
-- ২য় বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনী দিবস
-- ২য় সোমবার কমনওয়েলথ দিবস

এপ্রিলঃ
দিন দিবস সমূহ
(i)বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস,
(ii)ঢাকার কেরানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস,
(iii) জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস,
(iv) বিশ্ব শিশু বই দিবস
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস
আন্তর্জাতিক খনি নিরাপত্তা দিবস
প্রতিবন্ধী দিবস
(i) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস,
(ii) রোয়ান্ডার গণহত্যা স্মরণ দিবস
ইস্টার সানডে
১০ স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠন দিবস
১২ বিশ্ব মহাকাশ ও বিমান চলাচল দিবস
১৪ ১লা বৈশাখ, বাংলা বছরের প্রথম দিন
১৬ বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
১৭ (i) বিশ্ব হিমোফিলিয়া (Haemophilia) দিবস,
(ii) মুজিবনগর দিবস
১৮ বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
২০ চীনা ভাষা দিবস
২১ বিশ্ব সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন দিবস
২২ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস, ইংরেজী ভাষা দিবস
২৩ বিশ্ব পুস্তক এবং কপিরাইট দিবস
২৪ ওয়ার্ল্ড ল্যাব এনিমেলস ডে
২৫ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস
২৬ বিশ্ব মেধাসত্ত্ব দিবস
২৭ (i)এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী,
(ii)আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস,
(iii) বিশ্ব নকশা দিবস
২৮ (i) আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মরণ দিবস(International Worker’s Memorial Day),
(ii)পেশাগত স্বাস্থ্য ও শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস
২৯ (i) বিশ্ব নৃত্য দিবস,
(ii) বিশ্ব ইচ্ছাপূরণ দিবস
--- শেষ মঙ্গলবার শব্দ সচেতনতা দিবস

মেঃ
দিন দিবস সমূহ
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস
(i) সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস,
(ii) বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস,
(iii) আন্তর্জাতিক সূর্য দিবস,
(iv) বিশ্ব অ্যাজমা দিবস
কয়লা খনি শ্রমিক দিবস
(i)বিশ্ব এথলেটিকস দিবস,
(ii)বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এই দিন জন্মগ্রহণ করেন
(i) বিশ্ব রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট দিবস,
(ii) ২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণ দিবস,
(iii) রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী (২৫ বৈশাখ)
১২ (i)আন্তর্জাতিক নার্স দিবস,
(ii) বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস (World migratory bird day) (১২ ও ১৩ মে)
১৩ (i)আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত দিবস,
(ii) বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস (World migratory bird day) (১২ ও ১৩ মে)
১৫ পরিবার দিবস
১৬ ফারাক্কা লং মার্চ দিবস বা ফারাক্কা দিবস
১৭ (i)ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে,
(ii) বিশ্ব টেলি যোগাযোগ দিবস,
(iii) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
১৮ বিশ্ব জাদুঘর দিবস
১৯ বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
২০ (i)বিশ্ব পরিমাপবিদ্যা দিবস (World Metrology Day),
(ii) চা শ্রমিক হত্যা দিবস
২১ বিশ্ব সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংলাপ দিবস
২২ আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস
২৩ বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
২৫ নজরুল জন্মজয়ন্তী (১১ জ্যৈষ্ঠ)
২৮ (i)বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস,
(ii) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের মৃত্যুবার্ষিকী
২৯ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস
৩০ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী
৩১ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস
-- মে মাসের প্রথম রবিবার বিশ্ব হাসি দিবস
-- মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস

জুনঃ
দিন দিবস সমূহ
আগ্রাসনের শিকার শিশু দিবস
(International Day of Innocent Children Victims of Aggression)
বিশ্ব পরিবেশ দিবস
ছয় দফা দিবস
(i)বিশ্ব ব্রেইন টিউমার দিবস,
(ii) বিশ্ব মহাসাগর দিবস
১২ বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস
১৩ নারী উত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস
১৪ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
১৬ সংবাদপত্রের কালো দিবস
১৭ (i)বিশ্ব খরা ও মরুকরণরোধী দিবস,
(ii) ভাষা সৈনিক গাজীউল হকের মৃত্যুবার্ষিকী
১৮ আন্তর্জাতিক পিকনিক দিবস
২০ (i)বিশ্ব শরণার্থী দিবস,
(ii) সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী
২১ (i)বিশ্ব সংগীত দিবস,
(ii) সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস,
(iii) কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্মবার্ষিকী
২৩ (i)আন্তর্জাতিক অলিম্পিক দিবস,
(ii) জাতিসংঘ পাবলিক সার্ভিস দিবস,
(iii) পলাশী দিবস,
(iv) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
২৬ (i)ওষুধের অপব্যবহার
(ii)অবৈধ পাচার বিরোধী দিবস,
(iii)নির্যাতনের শিকারদের সহায়তা দিবস
-- জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস

জুলাইঃ
দিন দিবস সমূহ
(i)আন্তর্জাতিক কৌতুক দিবস,
(ii) চিকিৎসক দিবস,
(iii) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
বিশ্ব ক্রিড়া সাংবাদিক দিবস
১১ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
২৮ বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস
২৯ বিশ্ব বাঘ দিবস
-- জুলাইয়ের প্রথম শনিবার বিশ্ব সমবায় দিবস

আগস্টঃ
দিন দিবস সমূহ
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ/স্তন্যদান
পরমাণু বোমা বিরোধী দিবস, হিরোশিমা দিবস
নাগাসাকি দিবস, বিশ্ব আদিবাসী দিবস
১২ আন্তর্জাতিক যুব দিবস
১৩ আন্তর্জাতিক বাহাতি দিবস
১৫ জাতীয় শোক দিবস
১৯ বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস
২০ বিশ্ব মশক দিবস
২৩ দাস বাণিজ্য স্মরণ এবং রদ দিবস
২৭ দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস
-- আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস

সেপ্টেম্বরঃ
দিন দিবস সমূহ
বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস
১০ বিশ্ব আত্নহত্যা বিরোধী দিবস
১১ বিশ্ব প্রাথমিক চিকিৎসা দিবস
১৫ (i)আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস,
(ii) আন্তর্জাতিক প্রকৌশলী দিবস,
(iii) জাতীয় আয়কর দিবস
১৬ বিশ্ব ওজন দিবস
১৭ মহান শিক্ষা দিবস
১৮ (i)কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস,
(ii) বিশ্ব নৌ দিবস
২১ (i)বিশ্ব শান্তি দিবস,
(ii) বিশ্ব আলঝাইমার দিবস
২২ বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস
২৩ প্রীতিলতার আত্নাহুতি দিবস
২৪ (i)ওয়ার্ল্ড ক্লিন আপ ডে,
(ii) মীনা দিবস
২৭ বিশ্ব পর্যটন দিবস
২৮ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস
২৯ মাহমুদপুর গণহত্যা দিবস
২৯ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে
৩০ বিশ্ব কন্যাশিশু দিবস

অক্টোবরঃ
দিন দিবস সমূহ
(i)বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস,
(ii) বিশ্ব বয়োজ্যেষ্ঠ দিবস,
(iii) বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
(i)বিশ্ব প্রাণী দিবস,
(ii) আন্তর্জাতিক সহিংসতা বিরোধী দিবস,
(iii) পথশিশু দিবস
ওয়ার্ল্ড এনিমেল ওয়েলফেয়ার ডে
বিশ্ব শিক্ষক দিবস
বিশ্ব মানবিক তৎপরতা দিবস
০৯ বিশ্ব ডাক দিবস
১০ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস
১২ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস
১৩ আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় হ্রাসকরণ দিবস
১৪ বিশ্ব মান দিবস, বিশ্ব দৃষ্টি দিবস
১৫ (i)বিশ্ব হাতধোয়া দিবস,
(ii) বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস,
(iii) আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস
১৬ বিশ্ব খাদ্য দিবস
১৭ বিশ্ব ট্রমা দিবস
২০ বিশ্ব অস্টেঅপরোসিস দিবস
২৪ (i)জাতিসংঘ দিবস,
(ii) বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস,
(iii) বিশ্ব পোলিও দিবস
৩০ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

নভেম্বরঃ
দিন দিবস সমূহ
বিশ্ব নিরামিষাশী দিবস
জেল হত্যা দিবস
সংবিধান দিবস
যুদ্ধ এবং সশস্ত্র সংঘাতে পরিবেশের ক্ষতি দূরীকরণ দিবস
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
বিশ্ব রেডিগ্রাফার দিবস
১০ নূর হোসেন দিবস
১২ বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
১৪ বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস
২০ আফ্রিকার শিল্পায়ন দিবস
২১ (i)বিশ্ব টেলিভিশন দিবস,
(ii) সশস্ত্র বাহিনী দিবস
২৫ নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ দিবস
২৯ ফিলিস্তিনদের প্রতি সংহতি দিবস
-- নভেম্বরের প্রথম শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস

ডিসেম্বরঃ
দিন দিবস সমূহ
(i)বিশ্ব এইডস দিবস,
(ii) জাতীয় যুব দিবস,
(iii) মুক্তিযোদ্ধা দিবস
9i)বিশ্ব কম্পিউটার সাক্ষরতা দিবস,
(ii) প্রতিবন্ধী দিবস
সংবিধান সংরক্ষণ দিবস
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল দিবস
(i)আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস,
(ii) রোকেয়া দিবস
১০ (i)আন্তর্জাতিক সম্প্রচার দিবস,
(ii) মানবাধিকার দিবস
১১ আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৪ (i)বিশ্ব জ্বালানি দিবস,
(ii) শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস
১৬ বিজয় দিবস
১৮ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস
১৯ বাংলা ব্লগ দিবস
২৯ আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র দিবস

বাংলাদেশের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ!

মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ১৯৪৯ সালে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল মোতালেব হাওলাদার।
জন্মগ্রহণ - মার্চ ৭, ১৯৪৯
মৃত্যুবরন - ডিসেম্বর ১৪, ১৯৭১
  •   তিনি ১৯৬৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন এবং ১৯৬৬ তে আই.এস.সি পাশ করার পর বিমান বাহিনীতে যোগদানের চেষ্টা করেন, কিন্তু চোখের অসুবিধা থাকায় ব্যর্থ হন।
  •   ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায়ই পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন।  ১৯৬৮-র ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন।
  •  মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ১৯৭১-এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি পাকিস্তানে ১৭৩ নম্বর ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটেলিয়ানে কর্তব্যরত ছিলেন। 
  • দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ছুটে এসেছিলেন পাকিস্তানের দুর্গম এলাকা অতিক্রম করে।
  •   তবে ৩ জুলাই পাকিস্তানে আটকে পড়া আরো তিনজন অফিসারসহ তিনি পালিয়ে যান ও পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মেহেদীপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নং সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে যোগ দেন
  •  তিনি সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের অধীনে যুদ্ধ করেন। বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর কারণে তাঁকে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের দায়িত্ব দেয়া হয়।
  •  ১০ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, লেফটেন্যান্ট কাইয়ুম, লেফটেন্যান্ট আউয়াল ও ৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়া এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করেন। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে মাত্র ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বারঘরিয়া এলাকা থেকে ৩/৪ টি দেশী নৌকায় করে রেহাইচর এলাকা থেকে মহানন্দা নদী অতিক্রম করেন। 
  •  নদী অতিক্রম করার পর উত্তর দিক থেকে একটি একটি করে প্রত্যেকটি শত্রু অবস্থানের দখল নিয়ে দক্ষিণে এগোতে থাকেন। তিনি এমনভাবে আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন যেন উত্তর দিক থেকে শত্রু নিপাত করার সময় দক্ষিণ দিক থেকে শত্রু কোনকিছু আঁচ করতে না পারে। এভাবে এগুতে থাকার সময় জয় যখন প্রায় সুনিশ্চিত তখন ঘটে বিপর্যয়। হঠাৎ বাঁধের উপর থেকে ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সের ৮/১০ জন সৈনিক দৌড়ে চর এলাকায় এসে যোগ দেয়। 
  • এরপরই শুরু হয় পাকিস্তান বাহিনীর অবিরাম ধারায় গুলিবর্ষন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর জীবনের পরোয়া না করে সামনে এগিয়ে যান। ঠিক সেই সময়ে শত্রুর একটি গুলি এসে বিদ্ধ হয় জাহাঙ্গীরের কপালে। শহীদ হন তিনি। 
  •  স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বিজয় সুনিশ্চিত করেই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। 
  •  মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয় মহিউদ্দনী জাহাঙ্গীরকে।
পুরস্কার ও সম্মাননা
যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
বরিশালের নিজ গ্রামের নাম তাঁর দাদার নামে হওয়ায় পরিবার ও গ্রামবাসীর ইচ্ছে অনুসারে তাঁর ইউনিয়নের নাম 'আগরপুর' পরিবর্তন করে 'মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর' ইউনিয়ন করা হয়েছে৷ সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশাল জেলা পরিষদ ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারের দান করা ৪০ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মাণ করছে বীরশ্রষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার৷

ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ আঙিনায় সমাহিত করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
জন্মগ্রহণ - ২৯শে অক্টোবর, ১৯৪১
মৃত্যুবরন - ২০শে আগস্ট, ১৯৭১
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে সর্বোচ্চ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান তাদের মধ্যে অন্যতম।
মতিউর রহমান ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার ১০৯ আগা সাদেক রোডের পৈত্রিক বাড়ি "মোবারক লজ"-এ জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে মতিউর ৬ষ্ঠ। তাঁর বাবা মৌলভী আবদুস সামাদ, মা সৈয়দা মোবারকুন্নেসা খাতুন।

শিক্ষাজীবন
ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পাস করার পর সারগোদায় পাকিস্তান বিমান বাহিনী পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন।
  • ১৯৬১ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
  • ১৯৬৩ সালের জুন মাসে রিসালপুর পি,এ,এফ কলেজ থেকে কমিশন লাভ করেন এবং জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসাবে নিযুক্ত হন।
  • ১৯৬৫ তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ফ্লাইং অফিসার অবস্থায় কর্মরত ছিলেন
  • ১৯৬৭ সালের ২১ জুলাই তারিখে একটি মিগ-১৯ বিমান চালানোর সময় আকাশে সেটা হঠাৎ বিকল হয়ে গেলে দক্ষতার সাথে প্যারাসুট যোগে মাটিতে অবতরণ করেন
  • ১৯৬৭ সালে তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
ইরানের রানী ফারাহ দিবার সম্মানে পেশোয়ারে অনুষ্ঠিত বিমান মহড়ায় তিনি ছিলেন একমাত্র বাঙালি পাইলট।
রিসালপুরে দু'বছর ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসাবে কাজ করার পর
  • ১৯৭০ এ বদলি হয়ে আসেন জেট ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে
  • ১৯৭১ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় ছুটিতে আসেন
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
  • ১৯৭১ সালের শুরুতে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মতিউর সপরিবারে দুই মাসের ছুটিতে আসেন ঢাকা ২৫ মার্চের কালরাতে মতিউর ছিলেন রায়পুরের রামনগর গ্রামে ৷ পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একজন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হয়েও অসীম ঝুঁকি ও সাহসিকতার সাথে ভৈরবে একটি ট্রেনিং ক্যাম্প খুললেন ৷ যুদ্ধ করতে আসা বাঙালি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে থাকলেন ৷ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা অস্ত্র দিয়ে গড়ে তুললেন একটি প্রতিরোধ বাহিনী ৷
  • ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বিমান বাহিনী 'সেভর জেড' বিমান থেকে তাঁদের ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণ করে ৷ মতিউর রহমান পূর্বেই এটি আশঙ্কা করেছিলেন ৷ তাই ঘাঁটি পরিবর্তনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পান তিনি ও তাঁর বাহিনী ৷
  • ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা আসেন ও ৯ মে সপরিবারে করাচি ফিরে যান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট শুক্রবার ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী মিনহাজের উড্ডয়নের দিন ছিলো  মতিউর পূর্ব পরিকল্পনা মতো অফিসে এসে শিডিউল টাইমে গাড়ি নিয়ে চলে যান রানওয়ের পূর্ব পাশে ৷ সামনে পিছনে দুই সিটের প্রশিক্ষণ বিমান টি-৩৩ ।
  • রশিদ মিনহাজ বিমানের সামনের সিটে বসে স্টার্ট দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসতেই তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলে বিমানের পেছনের সিটে লাফিয়ে উঠে বসলেন৷ কিন্তু জ্ঞান হারাবার আগে মিনহাজ বলে ফেললেন, তিনিসহ বিমানটি হাইজ্যাকড হয়েছে । ছোট পাহাড়ের আড়ালে থাকায় কেউ দেখতে না পেলেও কন্ট্রোল টাওয়ার শুনতে পেল তা ৷ বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতিউর বিমান নিয়ে ছুটে চললেন৷ রাডারকে ফাঁকি দেবার জন্য নির্ধারিত উচ্চতার চেয়ে অনেক নিচ দিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন তিনি ৷
যেভাবে শহীদ হলেন
  • ২৫ মার্চের ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন। পরে তিনি দৌলতকান্দিতে জনসভা করেন এবং বিরাট মিছিল নিয়ে ভৈরব বাজারে যান। পাক-সৈন্যরা ভৈরব আক্রমণ করলে বেঙ্গল রেজিমেন্টে ই,পি,আর-এর সঙ্গে থেকে প্রতিরোধ বুহ্য তৈরি করেন। এর পরই কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে জঙ্গি বিমান দখল এবং সেটা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
  • ২০ই আগস্ট সকালে করাচির মৌরিপুর বিমান ঘাঁটিতে তারই এক ছাত্র রশীদ মিনহাজের কাছ থেকে একটি জঙ্গি বিমান ছিনতাই করেন। কিন্তু রশীদ এ ঘটনা কন্ট্রোল টাওয়ারে জানিয়ে দিলে, অপর চারটি জঙ্গি বিমান মতিউরের বিমানকে ধাওয়া করে। এ সময় রশীদের সাথে মতিউরের ধ্বস্তাধস্তি চলতে থাকে এবং এক পর্যায়ে রশীদ ইজেক্ট সুইচ চাপলে মতিউর বিমান থেকে ছিটকে পড়েন এবং বিমান উড্ডয়নের উচ্চতা কম থাকায় রশীদ সহ বিমানটি ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ মাইল দূরে থাট্টা এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মতিউরের সাথে প্যারাসুট না থাকাতে তিনি নিহত হন। তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থল হতে প্রায় আধ মাইল দূরে পাওয়া যায়। রশীদকে পাকিস্তান সরকার সম্মানসূচক খেতাব দান করে।
প্রসঙ্গতঃ একই ঘটনায় দুই বিপরীত ভূমিকার জন্য দুইজনকে তাদের দেশের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক খেতাব প্রদানের এমন ঘটনা বিরল।
মতিউরকে করাচির মাসরুর বেসের চতুর্থ শ্রেণীর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
২০০৬ সালের ২৩ জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান হতে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁকে পূর্ণ মর্যাদায় ২৫শে জুন শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
  • জন্ম:২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩
  • মৃত্যু: ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১
মোহাম্মদ হামিদুর রহমান জন্ম ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তদানিন্তন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামে।তাঁর পিতার নাম আব্বাস আলী মন্ডল এবং মায়ের নাম মোসাম্মাৎ কায়সুন্নেসা। শৈশবে তিনি খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে সামান্য লেখাপড়া করেন।
  • মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহীদ হওয়া হামিদুর রহমান সাত জন বীর শ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ
কর্মজীবন
  • ১৯৭০ সালে হামিদুর যোগ দেন সেনাবাহিনীতে সিপাহী পদে৷ তাঁর প্রথম ও শেষ ইউনিট ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট৷ সেনাবাহিনীতে ভর্তির পরই প্রশিক্ষণের জন্য তাঁকে পাঠানো হলো চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে৷ ২৫ মার্চের রাতে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ওখানকার আরও কয়েকটি ইউনিটের সমন্বয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়৷

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
  • ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে চাকরীস্থল থেকে নিজ গ্রামে চলে আসেন। বাড়ীতে একদিন থেকে পরদিনই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য চলে যান সিলেট জেলার শ্রীমঙ্গল থানার ধলই চা বাগানের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ধলই বর্ডার আউটপোস্টে। তিনি ৪নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। 
  • ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে হামিদুর রহমান ১ম ইস্টবেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন। ভোর চারটায় মুক্তিবাহিনী লক্ষ্যস্থলের কাছে পৌছে অবস্থান নেয়। সামনে দু প্লাটুন ও পেছনে এক প্লাটুন সৈন্য অবস্থান নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে শত্রু অভিমুখে। শত্রু অবস্থানের কাছাকাছি এলে একটি মাইন বিস্ফোরিত হয়। মুক্তিবাহিনী সীমান্ত ফাঁড়ির খুব কাছে পৌছে গেলেও ফাঁড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত হতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিবর্ষণের জন্য আর অগ্রসর হতে পারছিলো না। 
  • অক্টোবরের ২৮ তারিখে ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পাকিস্তান বাহিনীর ৩০এ ফ্রন্টিয়ার রেজিমেন্টের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান বাহিনীর মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রেনেড ছোড়ার দায়িত্ব দেয়া হয় হামিদুর রহমানকে। তিনি পাহাড়ি খালের মধ্য দিয়ে বুকে হেঁটে গ্রেনেড নিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। দুটি গ্রেনেড সফলভাবে মেশিনগান পোস্টে আঘাত হানে, কিন্তু তার পরপরই হামিদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। সে অবস্থাতেই তিনি মেশিনগান পোস্টে গিয়ে সেখানকার দুই জন পাকিস্তানী সৈন্যের সাথে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন। এভাবে আক্রণের মাধ্যমে হামিদুর রহমান এক সময় মেশিনগান পোস্টকে অকার্যকর করে দিতে সক্ষম হন। এই সুযোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল উদ্যমে এগিয়ে যান, এবং শত্রু পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করে সীমানা ফাঁড়িটি দখল করতে সমর্থ হন। কিন্তু হামিদুর রহমান বিজয়ের স্বাদ আস্বাদন করতে পারেননি, ফাঁড়ি দখলের পরে মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ হামিদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে। হামিদুর রহমানের মৃতদেহ সীমান্তের অল্প দূরে ভারতীয় ভূখন্ডে ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামের স্থানীয় এক পরিবারের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। নীচু স্থানে অবস্থিত কবরটি এক সময় পানির তলায় তলিয়ে যায়। 
  • ২০০৭ সালের ২৭শে অক্টোবর বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার হামিদুর রহমানের দেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। 
  • সেই অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ রাইফেলসের একটি দল ত্রিপুরা সীমান্তে হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ গ্রহণ করে, এবং যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে কুমিল্লার বিবিরহাট সীমান্ত দিয়ে শহীদের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। 
  • ১১ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
  • মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয় সিপাহী হামিদুর রহমানকে
  • এছাড়া তাঁর নিজের গ্রাম 'খোর্দ খালিশপুর'-এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হামিদনগর
  • এই গ্রামে তাঁর নামে রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ ঝিনাইদহ সদরে রয়েছে একটি স্টেডিয়াম
  • ১৯৯৯ সালে খালিশপুর বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি কলেজ
  • স্বাধীনতার ৩৬ বছর পর এই শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর গ্রামে লাইব্রেরি ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
  • ১২ জুন ২০০৭ সালে এই কলেজ প্রাঙ্গণে ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে শুরু হয় এই নির্মাণ কাজ

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
  • জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭
  • মৃত্যু: এপ্রিল ৮, ১৯৭১
মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাবিবুর রহমান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার ছিলেন। শৈশব থেকেই দুঃসাহসী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। পড়াশোনা বেশিদূর করতে পারেননি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর উচচ বিদ্যালয়ে দু-এক বছর অধ্যয়ন করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
  • ১৯৬৭-র ১৬ ডিসেম্বর বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক। 
  • ১৯৭১-এর প্রথম দিকে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ঘিরে তিনটি প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে তোলে এন্ডারসন খালের পাঁড়ে। আখাউড়ায় অবস্থিত চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট দক্ষিণ দিক থেকে নিরাপত্তার জন্য দরুইন গ্রামের দুই নম্বর প্লাটুনকে নির্দেশ দেয়। 
  • সিপাহী মোস্তফা কামাল ছিলেন দুই নম্বর প্লাটুনে। কর্মতৎপরতার জন্য যুদ্ধের সময় মৌখিকভাবে তাঁকে ল্যান্স নায়েকের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়।

যেভাবে শহীদ হলেন
  • ১৬ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য কুমিল্লা-আখাউড়া রেললাইন ধরে উত্তর দিকে এগুতে থাকে। 
  • ১৭ই এপ্রিল পরদিন ভোরবেলা পাকিস্তান সেনাবাহিনী দরুইন গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর মর্টার ও আর্টিলারীর গোলাবর্ষণ শুরু করলে মেজর শাফায়াত জামিল ১১ নম্বর প্লাটুনকে দরুইন গ্রামে আগের প্লাটুনের সাথে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। ১১ নম্বর প্লাটুন নিয়ে হাবিলদার মুনির দরুইনে পৌছেন। সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল তার নিকট থেকে গুলি নিয়ে নিজ পরিখায় অবস্থান গ্রহণ করেন। 
  • বেলা ১১ টার দিকে শুরু হয় শত্রুর গোলাবর্ষণ। সেই সময়ে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। সাড়ে ১১টার দিকে মোগরা বাজার ও গঙ্গা সাগরের শত্রু অবস্থান থেকে গুলি বর্ষিত হয়। ১২ টার দিকে আসে পশ্চিম দিক থেকে সরাসরি আক্রমণ। প্রতিরক্ষার সৈন্যরা আক্রমণের তীব্রতায় বিহ্বল হয়ে পড়ে। কয়েক জন শহীদ হন। মোস্তফা কামাল মরিয়া হয়ে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। তাঁর পূর্ব দিকের সৈন্যরা পেছনে সরে নতুন অবস্থানে সরে যেতে থাকে এবং মোস্তফাকে যাবার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তাদের সবাইকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগের জন্য মোস্তফা পূর্ণোদ্যমে এল.এম.জি থেকে গুলি চালাতে থাকেন। 
  • তাঁর ৭০ গজের মধ্যে শত্রুপক্ষ চলে এলেও তিনি থামেননি। এতে করে শত্রু রা তাঁর সঙ্গীদের পিছু ধাওয়া করতে সাহস পায়নি। এক সময় গুলি শেষ হয়ে গেলে, শত্রুর আঘাতে তিনিও লুটিয়ে পড়েন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
  • মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক বীরশ্রেষ্ঠ পদক দেয়া হয় মোহাম্মদ মোস্তফা কামালকে
  • এছাড়া তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত কলেজ প্রাঙ্গণের একটি কোণে ভোলা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল লাইব্রেরি ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়
  • এছাড়া মোস্তফা কামালের নামানুসারে গ্রামের নাম মৌটুপীর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কামালনগর

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
জন্ম: ১ মে,১৯৪৩
মৃত্যু: ৮ এপ্রিল,১৯৭১
মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী উপজেলার অন্তর্গত) সালামতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সি মেহেদী হোসেন এবং মাতার নাম মকিদুন্নেসা। কিশোর বয়সে রউফ-এর পিতা মারা যান। ফলে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তিনি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

সংক্ষিপ্ত জীবনী
  • ১৯৬৩-র ৮ মে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস-এ ভর্তি হন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭। 
  • ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইং এ কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন।
     
যেভাবে শহীদ হলেন
  • ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পনীর সাথে বুড়িঘাটে অবস্থান নেন পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি জলপথ প্রতিরোধ করার জন্য ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানী সৈন্য, সাতটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য অগ্রসর হয়। তারা প্রতিরক্ষি বূহ্যের সামনে এসে ৩" মর্টার এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ অবিরাম গোলা বর্ষন শুরু করে। গোলাবৃষ্টির তীব্রতায় প্রতিরক্ষার সৈন্যরা পেছনে সরে বাধ্য হয়। কিন্তু ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ পেছনে হটতে অস্বীকৃতি জানান। নিজ পরিখা থেকে মেশিনগানের গুলিবর্ষণ শুরু করেন। মেশিনগানের এই পাল্টা আক্রমণের ফলে শত্রুদের স্পীড বোট গুলো ডুবে যায়। হতাহত হয় এর আরোহীরা। পেছনের দুটো লঞ্চ দ্রুত পেছনে গিয়ে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে শুরু করে দুরপাল্লার ভারী গোলাবর্ষণ। মর্টারের ভারী গোলা এসে পরে আব্দুর রউফের উপর। লুটিয়ে পড়েন তিনি, নীরব হয়ে যায় তাঁর মেশিনগান। ততক্ষণে নিরাপদ দূরুত্বে সরে যেতে সক্ষম হন তাঁর সহযোদ্ধারা।
  • শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চরে। তাঁর অপরিসীম বীরত্ব,সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।
সম্মাননা
  • ২০১৪-এ পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ 
  • তার স্মৃতিতে শালবাগান, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক, সাপছড়ির মধ্যবর্তী স্থানে ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ECB-16) একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছে
  • মানিকছড়ি, মুসলিম পাড়া, মহালছড়ি, খাগড়াছড়ি এর একটি উচ্চ বিদ্যালয় তার নামে রাখা হয়েছে
  • সিলেটের একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তার নামে রাখা হয়েছে
  • ফরিদপুর জেলার একটি কলেজ তার নামে রাখা হয়েছে, যেটি সরকারিকরণ করা হয়েছে

Under construction process...

Under construction process...

Inspiration & Guidelines!

 অবশেষে আমি তাহাকে পাইলাম!

সমস্ত কিছুর জন্য বিধাতাকে প্রণাম জানাই।

#Best_Gift_Ever

#Joining_Letter

#Assistant_Director

#Bangladesh_Bank

জানেন, সম্ভবত আমার জীবনের সবথেকে বড় অর্জনের লিখিত দলিল এখন আমার হাতে। সংগ্রামী এই জীবনের বেকারত্ব ঘুচানোর জন্যতো বটেই সেই সাথে করোনা মহামারীর এই বিভীষিকা আর দিনের পর দিন অপেক্ষার নির্ঘুম রাতগুলো এই প্রাপ্তির সার্থকতা যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে! বাস্তবে এই মহামূল্যের অপেক্ষাতো সেই শিশুশ্রেণীর প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছিল! "পড়াশোনা করে যে, গাড়ি - ঘোড়া চড়ে সে" এই প্রবাদতো আমার, আপনার আমাদের সকলের শিক্ষাজীবনের অনুপ্রাণ! সেই শিশুকাল থেকে গাড়ি - ঘোড়ায় চড়ার এই টিকিটের জন্যে এতো বছরের পর বছরের সাধনা, সংগ্রাম! জীবনটা সত্যিই অনেক স্বাদের অমৃতবাহী একটা সুধাপাত্র বটে কিন্তু তার খাঁজে খাঁজে সুতীক্ষ্ণ কণ্টক আর পিচ্ছিল প্রলেপের ছড়াছড়ি! তাইতো চলার পথে এতো ঝঞ্ঝা! আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত কত ত্যাগ, পরিশ্রম আর সংগ্রাম করে যাই ঠিকই কিন্তু সফলতা - ব্যর্থতার চক্রব্যূহে কত গল্পই হারিয়ে যায় মহাকালের গহীনে! কিন্তু বিশ্বাস করুন, বুকে হাত রেখে নিশ্চয়তা দিতে পারি, আপনি নিজে ভুলে গেলেও প্রকৃতি আপনার শ্রম আর আত্মত্যাগ কখনোই ভুলবে না! তাইতো শত ভীড়ের মাঝেও নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিকের দিনগুলোয় কনকনে শীতে রোজ সকালে কাঁপতে কাঁপতে পড়তে যাওয়ার ত্যাগকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে! তাইতো উচ্চ মাধ্যমিকে ঘরকুনো আপনার অতি ব্যস্ত যান্ত্রিক শহরে অচেনা হোস্টেলের পচা খাবার খেয়েও রোজ ১৮ ঘন্টা বই পড়িয়ে কাটানো স্বপ্নালু  দিনগুলোকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে! তাইতো স্নাতক - স্নাতকোত্তরে শত পীড়ায় - ধোকায় জর্জরিত হয়েও সারারাত পড়ার টেবিলে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কাটিয়ে চোখ মুছতে মুছতে সকাল ৮ টায় টানা ৪ ঘন্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বর্বরোচিত ত্যাগকে প্রকৃতি পুরস্কৃত করে। তাইতো আপনাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে যাওয়া আপনার মায়ের সমস্ত কষ্ট, দুঃখ, প্রার্থনাকে প্রকৃতি বিফলে যেতে দেয়না! তাইতো আপনার সফলতা আপনার বাবার সকাল থেকে রাত অবধি  টানা কাজ করে যাওয়া ঘর্মাক্ত শরীরেও কোথায় যেন একটু ফুরফুরে বাতাস বইয়ে দেয়! 

তাইতো ছোটবেলার সেই পরম প্রবাদ সত্যই সত্যি হয়ে যায় আর আপনার পড়াশোনা আপনাকে সত্যই গাড়ি - ঘোড়ায় চড়িয়ে পুরো মহাবিশ্বেই যেন আপনাকে পরিভ্রমণ করিয়ে নিয়ে আসে! তাইতো এই সমস্ত ধাপগুলো পেড়িয়ে আজ আমার জীবনের কৃষ্ণগহ্বরের মাঝে যেন এক উল্কাপিণ্ডের দেখা পেয়েছি! এ যেন রাশি রাশি অন্ধকারে থোকায় থোকায় আলোক কণা! এইতো জীবনের পরম পাওয়া, এইতো শত শত রাত জেগে পড়াশোনা করে যাওয়া কষ্টের পূর্ণতা প্রাপ্তি! এই ছোট জীবনে এর থেকে বেশী কিছু আর চাওয়ার নেই আসলেই।

তাই শত বিপত্তি, ব্যর্থতা থাকা সত্বেও এগিয়ে যান। এগিয়ে যাওয়াই জীবন।জীবন নিজেই যে কখন তাকে গুছিয়ে নেবে হয়তো আপনিও বুঝতে পারবেন না৷ জানি এখন সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। করোনা মহামারীর এই দুঃসহ প্রাক্কালে নানাভাবে আমরা হতাশ হয়ে পরেছি। কিছু কিছু সময় হয়তো জীবনটাই অর্থহীন মনে হচ্ছে কিন্তু আসলেই এটার নামান্তর হলো ধৈর্যের পরীক্ষা! জীবন কখনো এমন জানিয়ে অথবা না জানিয়ে, গোপনে অথবা মহাসমারোহে বহু ধৈর্যের পরীক্ষা নেয়। এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে শান্তমনে যতটা পারা যায় নিজের কাজ করে যান, বাকীটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে থেমে গেলে আপনার জীবনের সময়ও থেমে যাবে! তাই উঠুন, হাঁটুন, চলুন! হতাশাকে ছোট করে দেখার কিছু নেই, হতাশা আছে বলেইতো আশার গুরুত্ব বোঝা যায়। আশা আর হতাশা সেতো মুদ্রার এপিঠ - ওপিঠ!
Collected

#স্বপ্নের_BCS :-

(৪৩ তম বিসিএস এর সার্কুলার (৪২ বিশেষ, ৪৩ সাধারণ)   ২০২০ এ-র মধ্যেই হতে পারে।

পদ সংখ্যা -১৮১৪ ( চাহিদা )


জনপ্রশাসন ও পিএসসি সূত্র জানায়, আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসিতে ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের চাহিদা পাঠিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মোট ১ হাজার ৮১৪ পদের চাহিদা পাঠিয়েছে। এতে শিক্ষায় নেওয়া হবে সবচেয়ে বেশি। এখানে পদসংখ্যা ৮৪৩টি। এ ছাড়া প্রশাসনে ৩০০, পুলিশে ১০০, পররাষ্ট্রে ২৫, অডিটে ৩৫, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪, সমবায়ে ২০, ডেন্টাল সার্জন ৭৫ জন এবং অন্যান্য ক্যাডারে ৩৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


#কৃতজ্ঞতা :

এই গ্রুপ আমাকে দিন দিন ঋণী করে তুলেছে! গ্রুপে একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই, পরামর্শ কিংবা টিপস দেয়ার মতো দৃষ্টতা আমার মতো নগন্য মানুষের সেই দু:সাহস নেই৷ কাছের অনেক ছোট ভাই বোন  যখন বলে 'কিভাবে পড়াশোনা করবো ' বলে লজ্জায় ফেলে দেয়, তাদের জন্য একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি! যদি কাজে লাগে ধন্য হবো!


শাকিল আল-আমিন ৩৬তম শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত। 


@ " I have a Dream "

                                     - M Luther King. 


@ আগে স্বপ্ন ঠিক করুন আপনি কি হতে চান! বিসিএস ক্যাডার না অন্যকিছু! ভাইরে দুই নৌকায় পা দিলে আপনি নিমজ্জিত হবেন!


@আমরা সবাই প্রচুর পড়াশোনা করি কিন্তু সেটা কতটুকু মাথায় রাখতে পারি? এটাই বড় সমস্যা! তাদের উদ্যেশ্য বলি গুছিয়ে পড়ুন, প্রয়োজনে নোট করুন (ভয় পেলেন?) সমাধান দিচ্ছি,,,

ধরুন আপনি জব সলিউশন পড়ছেন! একে তিন ভাগ করুন..

১।এমন কিছু প্রশ্ন আছে যা আগামী ৩ বছর না পড়লেও পারবেন! এদের সেখানে থাকতে দিন!

২। এমন কিছু প্রশ্ন আছে যা পরীক্ষার হলে মাথা এলোমেলো করে দিবে, এদের কালার পেন দিয়ে গোল দাগ দিন!

৩।কিছু প্রশ্ন পাবেন যা আপনি মনেই রাখতে পারবেন না এদের ঘাড় ধরে নোট করুন! দাগ দিবেন না! 

পরীক্ষার আগে আগে যখন জব সলিউশন টা মাত্র ১ দিনে রিভিউ করে ফেলবেন, তখন আপনার হাসি দেখে কে? এভাবে সব বই পড়বেন! কারণ পরীক্ষার আগে আপনি রিভিশন দিতে না পারলে আপনার প্রস্তুতি ৪০% কম হবে!


@আমরা অনেকেই দিনে ১২/১৪ পড়াশোনা করে 'মনে মনে বলি ইয়েস সেই পড়ে ফেলসি মাম্মা! একবার কি খেয়াল করেছেন কি পড়েছেন সারাদিন? ভাইরে পড়ালেখায় Serious হওয়ায় প্রয়োজন নাই Sincere হউন! রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই ঠিক করুন কি /কোন. সাব্জেক্ট পড়বেন! তা না হলে টেবিল এ বসে পাতা উল্টাতে হবে!


@যাদের মন বসেনা পড়ার টেবিলে, তাদের বলি আপনার সুবিধাজনক একটা পড়ার রুটিন করে কঠোরভাবে ফলো করুন! রুটিন আপনাকে পড়ার তাগিদ দিবে! সবকিছুর ফাকে ফাকে পড়ালেখা নয়, পড়ালেখার ফাকে ফাকে ফেসবুক, আড্ডা, ব্লা...ব্লা

আপনার ক্যারিয়ার না থাকলে  আপনি অচল পয়সা!


@আপনার পড়ালেখা হবে সুদূর প্রসারী! যেমন গণিত! শুধু শর্টকাট পড়বেন না, আর প্রিলিতে গণিতে খুব বেশী  সময় দিবেন না! ১৫ এর মধ্যে আপনি কিছু না করলেও. ৭/৮ পাবেন! আবার অনেকেই গণিতে দুর্বল বিসিএস লিখিত ভয় পাচ্ছেন, তাদের উদ্যেশ্যে বলি ৩৫ তম বিসিএস এ গণিতে ৫০ এ ১৫/২০ পেয়েও "প্রশাসন ক্যাডার " ও পেয়েছেন!

তাই আপনি আপনার Strong Side বের করুন একে আরোও শাণিত করুন!


��আমি বিগত বিসিএস ক্যাডারদের নম্বর পত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করব কে কীভাবে স্ট্রং আর উইক জোনকে কাজে লাগিয়েছেন।। 


@পড়ার লোভ সামলান, অর্থাৎ অপ্রাসঙ্গিক পড়ে মাথা নষ্ট করবেন না! বিগত সালের প্রশ্ন সমাধান ও বিশ্লেষণ করুন! যত বাদ দিয়ে পড়ার কৌশল রপ্ত করতে পারবেন তত সফল হবেন! আর হ্যাঁ সারাদিন টেবিলে মাথা গুজে শুধু পড়াশোনা ই করবেন না চোখ কান খোলা রাখুন! নিয়মিত পত্রিকা পড়ুন, বিবিসি শুনুন! মনে রাখবেন অতি পড়ুয়ারা খুব বেশি ক্যাডার হয়না, স্মার্টরা ই ক্যাডার হয় বেশি! 


@ কি কি বই পড়বেন? 


প্রথমেই বাজার থেকে ১০-৪০ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ যেকোন একটা বই কিনে শেষ করে ফেলুন। তাহলেই বুঝবেন কোথাই কোথাই থেকে প্রশ্ন আসে। ঠিক বুঝে যাবেন আপনি।। 


 ইংরেজিঃ

Grammar অংশের জন্য আপনার সহায়ক বই হতে পারে-

1) Common Mistakes in English by T. J. Fitikides

2) English for Competitive Exams by Md Fazlul Haque

3) A Passage To English Language by Jakir Hossain 

4) S@ifur's Vocabulary or Studen vocabulary.. 

5) লিখিততে যুগোপযোগী শব্দার্থ ব্যবহার করতে The Daily Star পত্রিকার এডিটরিয়াল পার্টের বহুল প্রচলিত শব্দার্থগুলো খাতায় লিখে ফেলুন। Eassy লিখতে খুব কাজে লাগবে। কঠিন শব্দার্থ শিখলেও অই মুহুর্তে মাথায় আসে কম।। 

যদি ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র না হোন তাহলে সাহিত্য অংশটি আপনার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেক্ষেত্রে একটি নয়; অনেকগুলো বই, নোট আপনাকে সহযোগিতা করবে। 

1)  A comprehensive approach to English Literature by Majharul Islam

2)  Miracle by Oracle Prakashan

3)  A handbook on English Literature by Sharif Hossain Ahmad Chowdhury 


Note: ইংরেজি সাহিত্য অংশ গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন। এটা মনে রাখতে খুবই সাহায্য করে।। 

 বাংলাঃ

ব্যাকরণ অংশে-

ক) বাংলা ভাষার ব্যাকরণঃ ৯ম-১০ম শ্রেণি

খ) বিসিএস বিষয় বাংলাঃ ড. সৌমিত্র শেখর

গ) প্রবাদের উৎসসন্ধানঃ সমর পাল

ঘ) প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মঃ বাংলা একাডেমি

সাহিত্য অংশে-

ক) লাল নীল দীপাবলিঃ হুমায়ুন আজাদ

খ) কতো নদী সরোবরঃ হুমায়ুন আজাদ

গ) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসঃ মাহবুবুল আলম

ঘ) শীকর- মোহসিনা নাজিলা



Note: বাংলা  সাহিত্য অংশ গ্রুপ স্টাডি করে পড়ুন। এটা মনে রাখতে খুবই সাহায্য করে।। 


 গণিত ও মানসিক দক্ষতাঃ

১) সিলেবাস অনুসারে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠ্য বই

২) BCS Shortcut Math by Mohammad Arifur Rahman

৩) মানসিক দক্ষতাঃ ওরাকল গাইড (লিখিত)


 বিজ্ঞানঃ

১) সাধারণ বিজ্ঞান (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম)

২) পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞান (৯ম)

.

 বাংলাদেশ বিষয়াবলিঃ

১) অসমাপ্ত আত্মজীবনীঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

২) ইতিহাস (৯ম ১০ম) এবং পৌরনীতি ও সুশাসন

৩) বাংলাদেশের সংবিধান- আরিফুর রহমান 

৪) মূলধারা ৭১- মঈদুল হাসান

৫) স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসঃ মুনতাসির মামুন ও মাহমুদুর রহমান

৬) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়- (৬ষ্ঠ-৯ম)

৭) বাংলাদেশের তারিখঃ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান

৮) স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয়ের ইতিহাস - আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার 


 আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিঃ

১) বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছরঃ তারেক শামসুর রেহমান

২) নয়া বিশ্বব্যবস্থা ও সমকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতিঃ তারেক শামসুর রেহমান

৩) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতিঃ শাহ মুহাম্মদ আব্দুল হাই

৪)  আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতিঃ মোঃ আবদুল হালিম 

.

 কম্পিউটারঃ

১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক)

২) Easy কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি


 ভূগোল ও পরিবেশঃ

১) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল বই

২) এসিউরেন্স গাইড


 নৈতিকতা ও মূল্যবোধঃ

১) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল বই

২) এসিউরেন্স গাইড

.

#গাইড_বইঃ 

গাইড বইয়ের উপর পুরোপুরি ভরসা না করা গেলেও আপনার প্রস্তুতিকে গতিশীল করবে। সেক্ষেত্রে

>> ইংরেজি + বাংলা + কম্পিউটারের জন্য MP3, 

>>বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি +ভূগোল + নৈতিকতা মূল্যবোধের  জন্য অ্যাসিওরেন্স, 

>>গণিত + মানসিক দক্ষতা প্রফেসর 

>> বিজ্ঞানের জন্য জামিলস বিজ্ঞান!


#বিদ্রঃ নিয়মিত পত্রিকা পড়া(বাংলা, ইংরেজি ), বিবিসি সংবাদ শোনা জরুরী। 


#### পরীক্ষার হলে করণীয় ####


ডারউইন এর বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে " Tomorrow As yesterday only the fittest will survive in the struggle for existence ".

পরীক্ষার হলটাও তাই, পরীক্ষা দিবে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ, টিকে থাকবে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার! মাথায় রাখবেন! 


@ পরীক্ষার হলে ২ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ! আপনার এত্তদিনের সাধনা ভেস্তে যেতে পারে!

*প্রথমেই বলবো লোভ সামলান, হ্যাঁ লোভ সামলাতে বলছি! পিএসসি আপনাকে কিছু কনফিউজড প্রশ্নের লোভ দেখাবে, ফাঁদে পরেছেন তো মরেছেন! অনুমানের শিল্প দেখানোর দরকার নাই!

অনেকেই মনে করেন আরে ১৬০ গোল্লা ভরাট করি সর্বোচ্চ ২০ টাই ভুল হলো, তাও তো ১৩০ পাইতাছি! পরে হিসাব করে দেখা গেল নেগেটিভ মার্কিং এ পিএসসি উনার কাছে ২০ পায়!

সাধু সাবধান শুধু নেগেটিভ এর জন্য আপনি ধরা খাবেন!


@আসুন প্রিলিতে টিকার জন্য কি দরকার একটু বিশ্লেষণ করি! ৩৫ তম থেকেই নতুন ধাচের বিসিএস শুরু হয়েছে,  কি প্রিলি, কি লিখিত! 

বিগত কয়েকটি বিসিএস এর কাট মার্ক্স ছিলো আনুমানিক 

৩৫ এ ৮৮,

 ৩৬ এ ১০৮,

 ৩৭ এ ৯৮,

৩৮ এ ১১০,

৪০এ ৯৮-১০০!(আনুমানিক )

তাহলে প্রিলিতে ২০০ তে আপনার ১৪০ পাওয়ার দরকার নাই, ১১৫/১২০ ই সেভ জোন! কেউ যদি ১৫০+ পায় আমাদের আপত্তি নাই, আমি সর্বসাধারণের কথা বলছি! আপনার প্রস্তুতি কে আরোও শাণিত করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হউন! 


@বাংলাদেশে বিসিএস ক্র্যাজের অন্যতম কারন ক্যাডার এর পাশাপাশি #Non_Cadre_fact. অনেককেই বলতে শুনেছি তিনি শুধু নন ক্যাডারের জন্য বিসিএস দিচ্ছেন! নন ক্যাডারের আলাদা কোন সার্কুলার নেই বললেই চলে! 


#আমি বলছি না বিসিএস ই জীবনের সব, এটা শুধু বিসিএস স্বপ্ন বিলাসীদের জন্য! রিজিকের মালিক আল্লাহ, তিনিই উত্তম ফায়সালাকারী! আপনি শুধু লেগে থাকুন! 


@অভিজ্ঞতাটুকু কারো বিন্দুমাত্র উপকারে আসলে ভাল লাগবে!  এই অনভিজ্ঞ মানুষের অভিজ্ঞতা শেয়ার যদিও হাস্যকর, তবুও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!

সকলের দোয়া প্রত্যাশী .......

 #আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বিসিএস প্রিলি পাশ করার কিছু  কৌশল শেয়ার করব, যা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। 


#আমি কোন কোচিং বা পাবলিশার্সের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলব না, তবুও নিজের ভাল লাগা কিছু বই, টেকনিক আপনাদের সাথে শেয়ার করব।


#পর্ব ১


কৌশল

১. বিসিএস প্রিলিতে পাস করার জন্য ৬০% (১২০) নাম্বার সেইফ জোন, প্রশ্ন যত সহজ বা কঠিন হোক না কেন। 


২. পিএসসি আপনাকে সর্বনিম্ন ১২০ টা প্রশ্ন দিবে, যা  আপনার জানার মধ্যে থাকবে, যদি প্রিপারেশন নেন। সেই ১২০ টা প্রশ্ন খোঁজে নিতে হবে নেগেটিভ মার্কিং ছাড়া। পিএসসি এক পার্ট সহজ করে, আবার অন্য পার্ট অনেক কঠিন করে, তাই কঠিন পার্ট দেখে মাথা গরম করা যাবে না। আবার অনেক সময় সব পার্ট এভারেজ করে, কিন্তু আপনাকে ১২০ টা দিবে।


৩. কেউ যদি কোচিং করেন দয়া করে সব পরিক্ষা নিয়মিত দিবেন, পরিক্ষা দিতে দিতে দেখবেন সিলেবাস শেষ। ক্লাস করা জরুরি বলে আমি মনে করি না। আমি ওরাকলে পরিক্ষা দিতাম, ওরা মনে হয় সব চেয়ে বেশি পরিক্ষা নেয়। প্রশ্ন যথেষ্ট মান সম্পূর্ণ করে (মডেল টেস্ট বাদে)। সেখানে ৮০-৯০% মার্কস তোলা যায়, যা আপনার কনফিডেন্স লেবেল বাড়াতে সাহায্য করবে।


৪. বিসিএসের পূর্ববর্তী প্রশ্ন সম্পর্কে খুব খুব ভালো ধারণা থাকতে হবে,  যা আপনার মনোবল বৃদ্ধি করবে এবং ভাল % কমন পাবেন। এমন ভাবে পড়তে হবে, যদি প্রশ্ন ঘুরে ও আসে তাহলেও যেন পারা যায়,  যেমন ঢাকা কোন দেশের রাজধানী?? আবার বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়??


৫. প্রিপারেশনের শুরুতে অনলাইন শিট না পড়াই ভাল। আগে সিলেক্টেড বই ভালো ভাবে শেষ করতে হবে।


৬. কোন বই ১০০% কাভার করে না, আবার একটা বইয়ের সব পড়তে হয় না। যা পরবর্তীতে বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় আসবে।


৭. আপনাকে কখনো ২০০ মার্কের প্রিপারেশন নিতে হবে না। সর্বোচ্চ ১৭০-১৮০। 


৮. সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে খুব বেশি সময় দেওয়ার দরকার নাই। যা পরিক্ষার আগে কিছু বই পাওয়া যায়, তা পড়লেই হয়।


৯. সিলেবাস শেষ হলে প্রচুর পরিমাণে মডেল টেস্ট দিতে হবে, যা আপনাকে ধারালো করবে।


১০. মনে রাখবেন  কেউ বিসিএস প্রিপারেশন নিয়ে জন্ম নেয় নাই, মুটামুটি সবাই একই ধরনের বই পড়ে ক্যাডার হয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।


১১. প্রশ্ন পড়ার সময় অপশন ছাড়া মনে রাখার চেষ্টা করুন। 


১২. আপনারা মনে থাকে না এটা ভুল ধারনা, এটা সবার জন্য প্রযোজ্য। বারবার পড়ুন ও বেশি করে পরিক্ষা দেন।


#কোন ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন


মোঃ মনিরুজ্জামান 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সুপারিশ প্রাপ্ত  ৩৮তম বিসিএস, ৪০ তম লিখিত ফল প্রত্যাশী)

Mahfuz Jami >> ‎Bangladesh Bank Exam Aid (BBEA) >>
সবচেয়ে খারাপ ভাইভা মনে হয় আমিই দিলাম। যাই হোক আসল কথায় আসি।
বিষয়ঃ ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ভাইভা বোর্ডঃ আব্দুর রহিম স্যার
ঢুকে সালাম দিলাম, বসার অনুমতি দিল পাশের একজন স্যার।
আমি ধন্যবাদ দিয়ে বসার আগেই রহিম স্যার প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল " আচ্ছা তোমার ফিল্ডে কি জব নাই? এখানে আসছো কেন? "
আমিঃ (ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে) জি স্যার। বুঝলাম না।
স্যারঃ বললাম তোমার ইঞ্জিনিয়ারিং এর জব ফিল্ড বাদ দিয়ে এখানে আসছো কেন?
আমিঃ স্যার, আসলে আমাদের ফিল্ডে চাকুরির সুযোগ কম। (থতমত খেয়ে বেশি কিছু বলার ইচ্ছা থাকলেও আর বললাম না)
স্যারঃ আচ্ছা বল, হোয়াট ইজ ইঞ্জিনিয়ারিং? আবার বাংলায় একই প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে বল।
আমিঃ বাংলায় আস্তে আস্তে বললাম।
ডান পাশে বসা স্যারঃ উদাহরণ দিয়ে বুঝাও
আমিঃ একটা উদাহরণ দিয়ে বললাম।
স্যারঃ আচ্ছা ফিনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং নাম শুনেছ?
আমিঃ জি স্যার শুনেছি, আমাদের ইকোনমিক্স এর একটা কোর্সে ছিল। (মনে মনে বলি ওইসব কিছুই তো মনে নাই)
স্যারঃ বল তাহলে কি?
আমিঃ বানিয়ে বানিয়ে ফিনান্সের সাথে সম্পর্ক হয় কিছু একটা বলে দিলাম।
স্যারঃ (মাথা নাড়তে লাগলেন) হয়নি।
রহিম স্যারঃ আচ্ছা তুমি তো প্রকৌশল পড়েছ। বল প্রকৌশল আর প্রযুক্তির মধ্যে পার্থক্য কি?
আমিঃ (খানিকক্ষণ চিন্তা করে বললাম) সরি স্যার।
রহিম স্যার এবার হাসতে হাসতে অন্যদের বলতেছে, পড়ছে ইঞ্জিনিয়ারিং, আবার ব্যাংকে চাকুরির ভাইভা দিতে আসছে, (আমার দিকে তাকিয়ে), তাও এসব কি ব্যাংকে জব করবা, কি যেন নাম, পল্লী সঞ্চয়, আন্সার ভিডিপি, আমি বললাম জি স্যার।
রহিম স্যারঃ তো তুমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে এইসব ব্যাংকে চাকুরি করবা এটা কেমন কথা, অন্য সব ভালো ব্যাংক হলেও একটা কথা ছিল। এটা কি তোমার স্ট্যাটাস এর সাথে যায়? হইছো ইঞ্জিনিয়ার, আর চাকুরি করবা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। হুম একবারে হইছে তাইলে। বলেই হাসা শুরু দিল।
আমিঃ(পুরাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে ভাবলাম আমি ভাইভা দিতে এসে একি বিপদে পরলাম, পরে অনেক কষ্টে সামলে বললাম) স্যার আমার ব্যাংকে চাকুরি করার খুবই ইচ্ছা।
স্যারঃ খুবই ইচ্ছা, আচ্ছা আচ্ছা ভালো। তাহলে বল হোয়াট ইজ ব্যাংকিং। ব্যাংকিং কাকে বলে?
আমিঃ( আমার তখনো ভ্যাবাচ্যাকা ভাব কাটেনি, আমতা আমতা করে বলতে লাগলাম বাংলায়) গ্রাহকদের থেকে আমনত সংগ্রহ করে এবং ঋণদাতাদের ঋণ প্রদান করে যে লাভ করার মাধ্যমে ইন্সটিটিউট পরিচালিত হয় তাদের কার্যক্রম হল ব্যাংকিং।
স্যারঃ জিব্রাল্টার প্রণালীর নাম শুনেছ
আমিঃ জি স্যার।
স্যারঃ বল এটা কি কি পৃথক করেছে।
আমিঃ স্যার এশিয়া থেকে আফ্রিকাকে ( ভুল বলেছি, হবে আফ্রিকা থেকে ইউরোপ কে)
স্যারঃ এশিয়া থেকে আফ্রিকা, তাহলে কোন কোন জায়গা দিয়ে গেছে।
আমিঃ(মুখস্থ ছিল) স্যার মরক্কো আর স্পেন কে আলাদা করেছে।
স্যারঃ তাহলে মরক্কো কোথায়
আমিঃ স্যার আফ্রিকা।
স্যারঃ তাহলে এশিয়া থেকে কিভাবে পৃথক হল।
আমিঃ সরি স্যার, পারবোনা।
স্যারঃ ব্যাংকে চাকুরি করতে ইচ্ছা, তাহলে এসব তো শিখে আসতে হবে তাইনা, ব্যাংকে যেহেতু চাকুরি করবা এসব জানতে হবে বুঝছ।
আমিঃ জি স্যার বুঝেছি।
তারপর আরো কিছু গ্রামের বাড়ি সংক্রান্ত ২,৩ টা প্রশ্ন করে বলল ঠিক আছে যাও তাহলে।
Recommended for Senior Officer of "Palli Sanchay Bank"

মশিউর রহমান মিলন >> ‎Banking Career in Bangladesh (BCB)>> অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় কি কি টপিকের উপর প্রশ্ন হয়ে থাকে জানতে চেয়েছেন।সেজন্য লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে আলোচনা করা যাক।বর্তমান সময়ে লিখিত পরীক্ষা মোট ২০০ নম্বরের(বিএসসি'র অধীনে নিয়োগ পরীক্ষায়) হয়ে থাকে।অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকে প্রিলিমিনারী পরীক্ষার সাথে ৩০/৪০/৫০ অথবা আরো কম/বেশি নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে।
বাংলা ফোকাস রাইটিং -২৫
ইংরেজি ফোকাস রাইটিং -২৫
বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ-১৫
ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ-১৫
বাংলা এপ্লিকেশন -১৫
ইংরেজি এপ্লিকেশন -১৫
ইংরেজি রিডিং কমপ্রিহেনশন -২০
গাণিতিক সমস্যা সমাধান-৭০
লিখিত পরিক্ষার মার্ক ডিস্ট্রিবিউশন সাধারণত এরকম হয়ে থাকে। তবে ফ্যাকাল্টি ভেদে একটু তারতম্য হতে পারে।
প্রথমেই বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ নিয়ে আসুন এনালাইসিস করি।বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ অংশে কোন একটা টপিক নিয়ে ৮/১০/১২টা বাংলা লাইন থাকবে যেটার ইংরেজি অনুবাদ করতে হবে।সব সময় চেষ্টা করবেন আক্ষরিক অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করতে।মূল বিষয় ঠিক রেখে ছোট ছোট বাক্যে সাবলীলভাবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবেন।খুব কঠিন কঠিন ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে যে অনুবাদ করতে হবে তা কিন্তু নয়, আপনার পরিচিত ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেই সুন্দরভাবে গুছিয়ে অনুবাদ করুন।সেই সাথে ইকনমিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যাংকিং এবং গ্লোবাল বিষয়গুলোর ইংরেজি টার্ম মুখস্থ রাখবেন।অনুবাদের সময় এই টার্মগুলোর ব্যবহার করবেন।সেই সাথে নিজের ভোকাবুলারিও নিয়মিত সমৃদ্ধ করবেন।অনেক সময় পরীক্ষার হলে পরিচিত বাংলার ইংরেজি শব্দ মনে আসবে না।পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আফসোস করবেন।
সাইফুরস এর ট্রান্সলেশন এন্ড রাইটিং, মিয়া মোহাম্মাদ সেলিম ভাইয়ের অনুবাদবিদ্যা, মহিদ'স মাসিক সম্পাদকীয় সমাচার বইগুলো থেকে অনুবাদ অনুশীলন করতে পারেন।একটা কথা মনে রাখবেন অনুবাদ জিনিসটা ২/৪দিনে শেখার ব্যাপার নয়, হাতে সময় নিয়ে নিয়মিত অনুশীলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।বাজারে প্রচলিত প্রায় সবগুলো বই ই ভালো, আমরাই ভালোমতো শেখার চেষ্টা করি না।
ঠিক একই ভাবে ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করবেন।বড় বড় ইংরেজি বাক্যকে ছোট ছোট অংশে ভেঙ্গে বাংলায় লিখবেন।কোন ইংরেজি শব্দ না বুঝলে সেই লাইনের আগের এবং পরের লাইন থেকে একটা প্রাসঙ্গিক বাংলা শব্দ ব্যবহার করবেন।উপরে উল্লিখিত বইগুলোতে কিভাবে বড় বড় ইংরেজি বাক্য ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনুবাদ করতে হয় সেসবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।আশা করি উপকৃত হবেন।
বাংলা এবং ইংরেজি এপ্লিকেশন এর জন্য বিগত ২/৩ বছরে বিভিন্ন সরকারী + বেসরকারি ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষায় আসা ফরম্যাটগুলো খাতায় নোট করে রাখুন।সাথে রিসেন্ট যতগুলো ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষা হয়েছে সেসব পরীক্ষায় আসা এপ্লিকেশনগুলোর ফরম্যাট সংগ্রহ করুন।ফরম্যাট ভালোমতো মাথায় গেঁথে রাখুন।এপ্লিকেশনে মূলত ফরম্যাট ঠিক আছে কিনা সেই বিষয়টা খেয়াল করা হয়।তবুও পরিক্ষার আগে পুরো এপ্লিকেশন ২/১ বার বাসায় লিখে লিখে প্রাকটিস করে যাবেন।
ইংরেজি রিডিং কমপ্রিহেনশনে কোন একটা বিষয়ের উপর অল্প কিছু আলোচনা থাকে।তারপর নিচে ৪/৫ টা প্রশ্ন থাকে সেই আলোচনা থেকে।আপনাকে সেই আলোচনা থেকে পড়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।তবে উত্তরে কখনোই কমপ্রিহেনশন থেকে হুবহু লাইন তুলে দিবেন না।সেই কথাগুলোই নিজের ভাষায় ২/৩ লাইনে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। Pearson Publications এর Objective English বইয়ে এবং ফজলুল হকের English for Competitive Exam বইয়ে রিডিং কমপ্রিহেনশন থেকে কিভাবে উত্তর করবেন বিস্তারিত আলোচনা করা আছে।এছাড়াও গাইড থেকে বিগত বছরের রিডিং কমপ্রিহেনশন সমাধান করলেই একটা ভালো ধারনা পাবেন।
আমার স্বল্প জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার আলোকে যেভাবে প্রস্তুতি নিলে আশা করা যায় লিখিত পরীক্ষায় ভালো করবেন সেভাবেই শেয়ার করেছি।

Sumon Howlader > ‎Bangladesh Bank Exam Aid (BBEA)
এসএসসি ৩.৮৮(২০০৩)
এইচএসসি ৪.৩০(২০০৬)
অনার্স-মাস্টার্স ২য় বিভাগ(কেমিস্ট্রি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
একটা সাধারণ শিক্ষার্থীর একাডেমিক রেসাল্ট।
২০১৫ সালের জানুয়ারী মাস থেকে চাকুরির জন্য এক্সাম দেওয়া শুরু হয়।
ব্যর্থতার ইতিহাসঃ
janata aeo teller (viva fail )
Pubali officer (viva fail)
Meghna petroleum officer (viva fail)
Railway asm (viva fail)
Agrani SO (viva fail)
Housebuilding finance Corporation officer(viva fail)
Bdbl SO (viva fail)
agrani cash (viva fail)
Janata aeo RC (viva fail)
সফলতাঃ
Rupali cash (Selected)
Sonali officer (selected)
Sonali SO (selected)
ভাইভাতে অংশগ্রহণ করিনি (একই গ্রেডের জব হওয়ার কারনে)ঃ
Sonali cash
Combined officer general
পরবর্তী রেসাল্ট বাকিঃ
Cobined SO
Bcic (assistant chemist)
অনেকগুলো রিটেন ফেল করেছি জিবনে। প্রিলি তো আরো বেশী। বয়স শেষ হওয়ার পর রূপালী ব্যাংকে জয়েন করেছি জানুয়ারী তে।
এই পোষ্টটা আমি কয়টা জব পেয়েছি সেইটা দেখানোর জন্য না। এটা হলো তাদের জন্য যারা নিজের রেসাল্ট, ভার্সিটি আর বয়স নিয়ে শংকা প্রকাশ করেন তাদের জন্য।
মাস্টার্স এর রেসাল্ট যেদিন দিলো সেদিন জাফর ইকবাল ভাই ( এই গ্রুপের অ্যাডমিন) কে নক করে বললাম "ভাই এই রেসাল্ট দিয়ে কিছু হবে?" উনি বললেন "লেগে থাকেন ভাই। হবে।" ভাই এর কথা গুলো এখনো মনে আছে আমার।
নিজের উপর আস্থা রাখুন। কোটা, টাকা, সুপারিশ এগুলো বাদেও আপনি ভালো জবই পাবেন।
ধন্যবাদ।

প্রচুর টেক্সট পেয়েছি বিগত কয়েক দিনে। কিন্তু সত্যি বলতে আমি ইংরেজির চাইতে গণিতটাই ভাল পারি। তাই আমি চাই গনিত নিয়েই কিছু কথা বলতে। আমি আজকে চেষ্টা করব তাই গনিতটাকে একটা ফ্রেমে নিয়ে আসতে। আসলে ব্যাংকের প্রিলির প্রশ্ন বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে হয়, তাই অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ম্যাথ করে প্রশ্ন কমন পাওয়ার একটা চিন্তা দেখা যায়। কিন্তু বিষয়টা একবার ভাবুন তো। ম্যাথ প্রশ্ন কমন পাওয়ার চিন্তা আর নিজের হাতে নিজের পায়ে কুড়াল মারা কিন্তু একই কথা। আমি নিজেও ম্যাথ কমন পড়বে এই চিন্ত কখনই করি না। সোনালী ব্যাংক সিনিয়র অফিসার, ৫ ব্যাংক অফিসার, ৮ ব্যাংক সিনিয়র অফিসার, প্রাইম ব্যাংক এমটিও সবগুলোতেই আমি দেখেছি, বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে প্রশ্ন কমন আসছে। কিন্তু আমি প্রেফার করতাম কেবল একটি বই। আর তা হল আর এস আগারওয়াল। এত ম্যাথ আছে যে পরলেও শেষ হয় না। আর এর পর আর তেমন কিছু লাগেও না। ভালো করে পড়লে রিটেন ম্যাথের প্রস্তুতিও হয়ে যায়। এটার বাইরে আর তেমন কিছু লাগেও না। এই বইয়ে ম্যাথ আছে প্রায় ৬০০০+ কিন্তু সব ম্যাথ করার দরকার নেই। মোটামুটি ২৫০০+ ম্যাথ করলেই আপনার হয়ে যাবে। আমি একটি ফাইল যোগ করে দিয়েছি পোষ্ট এর সাথে, এই ফাইলটি বানিয়েছিলাম প্রস্তুতির সময়। এখানে কোন চ্যাপ্টারের কোন ম্যাথ করতে হবে, তা দেয়া আছে। আপনি কষ্ট করে এই সাজেশন অনুসারে ম্যাথ করুন। মজার ব্যাপার হল এই বই থেকে ম্যাথ করলে আপনার মোটামুটি বিসিএস এর ৫০ মার্কের রিটেন ম্যাথের ৪০ এর প্রস্তুতি হয়ে যাবে। তবে এই বইটি ইংরেজিতে দেয়া। তাই একটু সময় লাগতে পারে যারা কিনা ইংরেজিতে একটু দুর্বল। কিন্তু সময় নিয়ে করে ফেলতে পারলে আপনাকে কে আটকায়। আর এই বইটি আয়ত্ত্বে আনতে পারলে যদি সময় পান, তবে আপনি কেবল মাত্র gmatclub থেকে কিছু ৭০০ লেভেল এর ম্যাথ দেখতে পারেন অর্থাৎ খুব ম্যাথ দেখতে পারেন। এর বেশী কিছু লাগে না আমি মনে করি। ৭০০ লেভেলের ম্যাথের একটি বই ও পাবেন মার্কেটে। তবে ম্যাথ করার সময় নিচের বিষয় গুলো ভাল করে খেয়াল করবেন।
১। কোনভাবেই শর্টকাটের দিকে যাবেন না।
২। হাতে কলমে ম্যাথ করবেন।
৩। ক্যালকুলেটর ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন।
৪। সুদকষার ম্যাথ গুলোর ক্যালকুলেশন হাতে কলমে করা আয়ত্ব করে নিতে হবে।
৫। ত্রিকোণমিতির মানগুলো ভাল করে মুখস্ত করে নিন।
৬। যদি সূত্র প্রয়োগ করতেই চান, তবে সূত্রটি খুব ভালকরে বুঝে নিতে হবে।
৭। ম্যাথ দেখে যদি মনে হয় এটা তো পারিই। তবে সবার আগে এটিই করবেন। কারণ হল, দেখে মনে হওয়া যে আমি পারি, আর সমধান করে বলতে পারা যে আমি পারি, কথা দুইটি একেবারে ভিন্ন কথা। অনেক এক্সপার্ট হোঁচট খায় এই একটা কারণে।
কুহেলিকা সেন
Selected for the post of Management Trainee, Prime Bank Ltd.
Senior officer, Sonali Bank, written selected.
Officer, Combined 5 Bank, written selected.
Senior officer, 8 Bank, written selected.

ব্যাংক প্রিপারেশন..
কম সময়ে ও কম পরিশ্রমে সফল হবার চেষ্টা।
আমি যেমনটা করেছিলাম।
প্রিলির জন্য
১. আরিফুর রহমান Govt Bank Job
২. প্রিভিয়ার ইয়ারের সকল ভোকাবুলারি উইথ সিনোনিম ও এনটোনিম। পাশাপাশি সাইফুরস বইটা। কারণ ইংরেজি বেশির ভাগ ভোকাবুলারি বেসড প্রশ্ন হয়। ভোকাবুলারি আমি নোট করে বার বার পড়তাম। যেটা পড়বেন সেটা যেন মনে থাকে সেভাবে পড়তে হবে। বেশি পড়লাম মনে রাখতে পারলাম না। এমন যেন না হয়। ভোকাবুলারি ব্যাংকের জন্য মেইন।
৩. Competitive Exam বইটা গ্রামারের জন্য।
৪. ম্যাথ মেক্সিমাম টাইম বেশি করতাম না। প্রিলির ম্যাথ পারা যেত। তবে আগারওয়ালের বইটা করলে প্রিলি ও রিটেন কাভার হবার কথা।
৫. সাধারণ জ্ঞান এর জন্য Mp3 + পরীক্ষা যে মাসে সে মাস সহ আগের তিন মাসের কারেন্ট ওয়ার্ল্ড বা affairs.
৬. কম্পিউটার এর জন্য ইজি কম্পিউটার। এছাড়াও নেট বেসড কিছু ওয়েবসাইট আছে তা থেকে পড়তে পারেন।
অন্যদিন রিটেন নিয়ে লিখব যদি আপনারা মনে করেন আপনাদের উপকার হবে।
মোঃ সাইফুল ইসলাম
৩৭ ট্রেইনি ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টর
Recommended Sonali Bank Officer (General)

Mofakharul Islam Nayon > ‎Banking Career in Bangladesh (BCB)>>
৩০ বছর পূর্ণ হবার শেষ দিনটিতেই কাংখিত চাকরী প্রাপ্তি......
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে সকল রাষ্টায়ত্ব ব্যাংকে যত প্রিলি দিয়েছি, তার সবগুলুতেই পাস! কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় সব জায়গায় ফেইল! ইভেন বিসিএস এ ও ২ বার লিখিত ফেইল! তারপর ও হাল না ছেড়ে এগিয়ে চলা ছিল আমার! বারবার লিখিত ফেইল আমাকে বিমর্ষ করে তুলতো! তা সত্ত্বেও পুনরায় নতুন করে শুরু করা ছিল আমার নেশা! মাস্টার্স রেজাল্ট প্রকাশের আগেই বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডে একটা জব হয়ে যায়! তারপর ও থেমে না থেকে এগিয়ে চলা ছিল অবিরাম! যার ফলস্বরুপ আমার বদলি খাগড়াছড়ি! তারপর ও থেমে যাই নি! খাগড়াছড়ি থেকে প্রতি শুক্রবার পরীক্ষা দিয়েছি! আর প্রিলি পাস লিখিত ফেইল! যথাযথভাবেই ইংলিশে দূর্বল! কিন্তু ম্যাথ করলেই পারতাম! সেটাকেই পূজি করে এগিয়ে চলতে থাকি! বাজারের এমন কোন ম্যাথ বই নেই যা সমাধান করতে চেষ্টা করিনি! কখনো পেড়েছি আবার কখনো পাড়িনি! তবে থেকে যাই নি! ম্যাথ ট কে সংগী করে এগিয়ে চলেছি! আর ইংলিশ মোটামোটি হয়েছে! তবে ভাল কোন কিছুই পারতাম না! আর এভাবেই নভেম্বর/2017 বয়স ৩০ ছুয়ে গেল! সে মাসেই কাংখিত ফলাফল শুনতে পারলাম! তখন ছিলাম খাগড়াছড়ি চেংগী নদীর ওপারে! অসাধারণ এক অনুভূতি ছিল সে মুহুর্তটা!
এ ঘটনা আমাকে যা শিখিয়েছে....
১. লেগে থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত!!
২. নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে!
৩. একটা পরীক্ষা নিজের মত একদিন ঠিক ই হবে! সেদিনটার অপেক্ষায় থাকতে হবে!
৪. আমি সব পারবো না এটাই স্বাভাবিক! কিন্তু আমি যা পারি তা দিয়ে বাধা উতড়ানোর দিনটার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে!
৫. আমি এম.এস ওয়ার্ড, এক্সেল খুব ই ভাল পারতাম, যা ব্যাবহারিকে আমাকে অনেক বেশি এগিয়ে দিয়েছে! ৫০ এ ৫০!!
৬. নিজের যা আছে তার প্রয়োগ সব জায়গায় হবে না, তবে কখন কোথায় হবে তার জন্যে ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা অবশ্যই করতে হবে!
৬. রেজাল্ট, প্রতিষ্ঠান এ প্রভাব এর কথা না ভাবাই ভালো!
সবশেষে বলা যায় নিজের জন্যে একটা দিন অবশ্যই আসবে! আর সে দিনটা ই হবে নিজেকে প্রমাণ করার মোক্ষম সময়!
অফিসার (আইটি)
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
কুলাউড়া শাখা, মৌলভীবাজার, সিলেট!!

বোর্ড চেয়ারম্যান - লায়লা বিলকিস ম্যাম (ED) টোটাল বোর্ড মেম্বার - ৩ জন
সময়- ৮-১০ মিনিট
সাবিজেক্ট- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
ম্যাম- নাম, উইনিভার্সিটি, সাবজেক্ট
আমি- ans
ম্যাম- ফিন্যান্স কি?
আমি- ans ম্যাম- কস্ট অফ ক্যাপিটাল কি?
আমি- ans ম্যাম- purchasing power parity কি? give Example
আমি- ans
বোর্ড- IRR VS NPV
আমি- ans বোর্ড- অর্থনীতিতে নোবেল কে কে পাইছে?
আমি- ans
বোর্ড- Balance of Payment?
আমি- ans
বোর্ড- টোটাল FDI কত এখন?
আমি- ans
বোর্ড- আগে কোনো রেজাল্ট পেন্ডিং আছি কিনা
আমি- ans
বোর্ড- কস্ট অফ ফান্ড কি?
আমি- ans
বোর্ড- Reatined Earning?
আমি- ans
ম্যাম- ওকে আসতে পার এখন।
আমি- সালাম দিয়ে বিদায় নিলাম
সবার জন্য শুভকামনা।

ভাই আপনি সোনালী ব্যাংকে ২ টা সরকারি চাকরি পেয়েছেন,কিভাবে পড়লে ব্যাংকে চাকরি পাবো?
- প্রথম কথা, আমি ব্যাংকের জন্য পড়িনি৷ আগেও বিসিএসের জন্য পড়তাম, এখনো বিসিএসের জন্যই পড়ি। আমার মতো অনেকেই বলে থাকেন, বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে তার কোথাও না কোথাও সরকারি চাকরি হবেই আশা করা যায়।
- চাকরি পেতে হলে ম্যাথ আর ইংলিশে বস হতে হবে,এখানে কোন বিকল্প নাই।
- ম্যাথ না পারলে ক্লাস ১ /২ শ্রেনী থেকে শুরু করুন,নো অলটারনেটিভ!
-ইংলিশের জন্য ভোকাবুলারি পড়ুন প্রচুর,গ্রামার কম!
- কারো সাজেশন এর অপেক্ষায় না থেকে কিছু প্রিভিয়াস প্রশ্ন দেখুন, পড়ুন৷ফেসবুক চালান তবে আগে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা আপনার।

This POST Admin- অফিসার(ক্যাশ) ২০১৯ থেকে কর্মরত
অফিসার(জেনারেল) ২০২০ সালে সুপারিশ প্রাপ্ত
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড।
এন্ড এট লাস্ট-
বৈধভাবে অনেক টাকার মালিক হতে চাইলে অন্যান্য সরকারি চাকরির চেয়ে সরকারি ব্যাংকের ব্যাংকার হওয়া বেটার!

কখনোই স্বপ্ন ছিল না যে সরকারি চাকরি করব। আমার কাছে ভাল প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা দেশের বাইরে যাওয়াটাই স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন ছিল। একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করে রিনিউবল এনার্জি টেকনোলজিতে মাস্টার্স কম্পলিট করলাম ঢাবি থেকে। এর মাঝে টুকটাক কিছু জব হলেও চাকরির বাজারের বেহাল দশা দেখে হতাশই হতে হল। মাস্টার্সের শেষের দিকে জয়েন করলাম BNDC Project (Bangladesh National Data Center)-এ। একটা থার্ড পার্টির অধিনে ছিলাম, সরাসরি রিক্রুটেড ছিলাম না। এতে করে কাজ একই হলেও সরাসরি রিক্রুটেডদের সাথে আমাদের সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য ছিল বিস্তর। সকাল ৮টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সাইটেই থাকতে হত। অনেক সময় সাইট থেকে বের হয়ে রিকশা পেতাম না, হেটেই চলে আসতে হত বাসায়। এমতাবস্থায়, চাকরির অনেক প্রয়োজন থাকা সত্বেও চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। মাস্টার্স যেহেতু শেষ ঠিক করলাম এবার বাইরে যাবার চেষ্টা করতে হবে, বাসায় জানালাম। বাবা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। আমাকে বাইরে যাতে দিতে চাননা। বললেন, সরকারি চাকরিতে ১/২ বছর চেষ্টা করে দেখ প্রথমে, যদি কিছু নাহয় তাহলে বাইরে চলে যাইস। ছোট বোনের অনুপ্রেরনায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করলাম জব প্রিপারেশন।

অনেক ভেবে ঠিক করলাম ব্যাংকের প্রিপারেশন নেব। কারন ম্যাথ আমার ভাল লাগত, আর ব্যাংকে ম্যাথ বেশ এগিয়ে রাখে। গ্রুপে পোস্ট দিয়ে বুঝলাম ২০১৬/১৭ সালের কিছু এক্সামের পরীক্ষা পেন্ডিং আছে এবং ৪/৫ মাসের মধ্যে হয়তো পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। প্রিপারেশন শুরু করলাম। প্রতিদিন দুইটা করে প্রিলি প্রশ্ন সলভ করা, দুই সেট রিটেন ম্যাথ সলভ করা, প্রতি সপ্তাহে আগারওয়াল এর ম্যাথ থেকে কমপক্ষে দুই চ্যাপ্টার ম্যাথ শেষ করে ফেলা এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ২ ঘন্টা বাংলা/ইংরেজিতে দেয়া। প্রশ্ন সলভ করতে গিয়ে যেগুলো বুঝতে সমস্যা হতো, সেটা গ্রুপে সার্চ দিয়ে বের করে নিতাম। প্রিলি প্রশ্ন সলভ করতে প্রথমদিকে ২/৩ ঘন্টাও লেগে যেত। কিন্তু হতাশ হতামনা। যেহেতু সবাই পারে, আমিও পারব। প্র‍্যাকটিস চালিয়ে যেতাম। এবং নিজের প্রগরেস নিজেই বুঝতে পারতাম। এতে উৎসাহটাও বেড়ে যেতো খুব।

আমি খুব বাংলা-ইংরেজী খুব সিলেকটিভলি পরতাম। এগুলা আমার জন্য কঠিন ছিল, এখান থেকে ৫০% মার্কস কিভাবে উঠানো যায় সেটাই আমার টার্গেট ছিল।
বাংলায় ক্লাস ৯-১০ এর গ্রামার বইটা ২ বার শুধু রিডিং পড়েছি। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে মার্ক করে রেখেছি। এরপর শুধু মার্ককরা অংশটাই পড়তাম। বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, সমাস, সন্ধি, কারক, শব্দ, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান ইত্যাদি চ্যাপ্টার গুলো বেশি পড়তাম। একেবারেই মনে থাকত না, পরীক্ষার আগেও পড়তে হত।

ইংরেজিতে মোটামুটি বেসিক ছিল। ভোকাবুলারি মুখস্থ করার মত সাহস করতে পারিনি কখনো। পরীক্ষা দিতে গিয়ে দেখলাম 40-50% নাম্বার থেকে যাচ্ছে ইংরেজিতে। শুধু প্রিভিয়াস সলভ করেছি এবং 'Common Mistake' নামের একটা বই ছিল, সেটাই শুধু পরেছি। নেট থেকে কালেক্ট করে One Word Substitution পড়েছি কিছু।

কম্পিউটাররের জন্য ইজি কম্পিউটার বইটা দুইবার শেষ করেছি। এরপর এক্সামভেডা ওয়েবসাইট থেকে কম্পিউটার অংশ মুখস্থ করেছি। গ্রুপের ফাইল সেকশনে এক্সামভেডা কম্পিউটারের ফাইল পাওয়া যাবে।

GK-র জন্য রেগুলার যখন পড়তে ভাল লাগত না, পত্রিকা পড়তাম, কারেন্ট এফেয়ার্স এর প্রথমদিকের হাইলাইটসটা পড়তাম এবং সব চেয়ে যেটা ইম্পর্ট্যান্ট ছিল, গ্রুপে অনেক সাধারণ জ্ঞ্যান, সাম্প্রতিক জ্ঞ্যান পোস্ট হত সেগুলো পড়তাম এবং ফেসবুকেই সেভ পোস্ট দিয়ে রাখতাম। পরে যখন ফ্রী থাকতাম পড়তাম।

গণিত এর জন্য আগারওয়ালের ৯/১০ টা চ্যাপ্টার কম্পলিট করেছি। এক্সামভেডা থেকে ম্যাথ সলভ করেছি। গ্রুপের বিভিন্ন ম্যাথ সলভ করেছি। যদিও সবসময় কমেন্ট/পোস্ট করা হয়নি। নিজের খাতায় সলভ করতাম বেশি।

পরীক্ষার আগে ফ্যাকাল্টি বেজড প্রিপারেশন নিতাম। প্রিভিয়াস ম্যাথ, বাংলা, এবং কম্পিউটার অনেক কমন পেয়েছি বিভিন্ন পরীক্ষায়।
বাসা থেকে বের হলে অনেকে অনেক কিছু বলবে তাই বের হতামনা। সারাদিন ঘরে বসে হয় পড়তাম নাহয় ঘুমাতাম নয়তো ফেসবুকে গ্রুপে সময় দিতাম। মাঝেমাঝে টুকটাক ভাল মুভি দেখতাম।
**এর মধ্যে পিকেবির দুইটা প্রিলি দিলাম। প্রথম পরীক্ষায় গণিত দিয়ে শুরু করলাম। ফলে অনেক প্রশ্ন আমি দেখতেই পারিনি। পরের পরীক্ষা তুলিনা মূলক ভাল হল। ম্যাথ শেষে দিয়েছি। তারপরও শেষের দিকে সময় শর্ট পরে গেল। বেশ কিছু সহজ অংক করতে পারিনি।

ফলাফল দুইটাতেই প্রিলি ফেইল।

**এবার দিলাম রূপালি অফিসার (৭৩৬ পোস্ট-২০১৭), আর্টস ফ্যাকাল্টি পরীক্ষা নিয়েছিল। ম্যাথ সবগুলোই প্রিভিয়াস থেকে আসছিল। উত্তর মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল প্র‍্যাকটিস করতে করতে। মোটামুটি ৪৭/৪৮ মিনিটে আমার সব দাগানো শেষ। ফলাফল, প্রিলি পাস করলাম।

খুব করে পড়লাম রিটেনের জন্য, টার্গেট ছিল মেরিটে যদি নাও আসে অন্তত যেন প্যানেলে জব হয়। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট মোটেই ভালো ছিল না। নার্ভাসনেসের কারনে সবগুলো ম্যাথ রিপিট হওয়া সত্বেও ২টা ভুল করে বসলাম। রিটেন কোনরকম শেষ করলাম। তারপরও আশা করেছিলাম কোনরকম হয়তো টিকে যাব। ফলাফল রিটেন ফেইল।

**রূপালী সিনিয়র অফিসার (৪৪৩ পোস্ট, ২০১৬) আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়েছিল। প্রিলি ভালই হল, সব প্রশ্ন দেখতে পেরেছিলাম ;)। ফলাফল প্রিলি পাশ করে গেলাম।

রিটেনের আগের দিন রূপালী অফিসারের রিটেনের রেজাল্ট দিল। কয়েকবার চেক করেও নিজের রোলটা পেলাম না। সেদিন আর কিছু পড়তে পারিনি। রাতে কিছু খাইনি। থেকে থেকে শুধু কান্না পাচ্ছিল।

পরদিন সকালে একদম ফাকা মাথায় প্রায় একঘন্টা আগে পরীক্ষার হলে চলে গেলাম। সবাই যখন নোট পড়ছিল আমি তখন নির্লিপ্ত। আমার হারানোর কিছুই নাই। পরীক্ষা দিলাম। ৭টা ম্যাথই প্রথম চেষ্টাতেই মিলে গেল। আর রিটেনেও ওভার অল দিয়ে তৃপ্তি পেলাম। শেষে ৫/৭ মিনিটের মত সময় ছিল। রিভিশন দিলাম। হল থেকে বের হয়েই বাসে উঠলাম, বিকালে আবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রিলি পরীক্ষা। বাসে উঠেই #Joy_Saha দাদার সমাধান পেলাম। আমার সবগুলো ফলই মিলে গেল আলহামদুলিল্লাহ।
ফলাফল রিটেন পাশ করলাম।
জীবনের প্রথম (এবং একমাত্র) ব্যাংক ভাইভায় মোটামুটি প্রিপেয়ার্ড হয়ে গেলাম। এক্সটার্নাল স্যার প্রথমেই দুইটা প্রশ্ন করলেন যেগুলো জীবনে শুনি নাই। নার্ভাস হয়ে গেলাম। এমতাবস্থায় বোর্ড চেয়ারম্যান (মনিরুজ্জামান স্যার) আমাকে বাচালেন। আমার চাকরি অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছুক্ষণ আলাপ করে ছেড়ে দিলেন।
ফলাফলঃ আলহামদুলিল্লাহ টিকে গেলাম।

আমার প্রিপারেশনে এক্সট্রাওর্ডিনারি কিছুই ছিল না। সিনিয়র অফিসার পোস্টে কম্পিট করার কোন যোগ্যতাই আমার ছিল না। তারপরও ফাইনালি আমি টিকে গেলাম। আমি মনেকরি এটা আমার জন্য পুরোটাই লাক ছিল। পিউর লাক। আর আমার সামান্য চেষ্টাটা হয়ত শুধুমাত্র উছিলা ছিল। -
এ সময়ে আমি আমার পরিবার থেকে পুরো সাপোর্ট পেয়েছি। ঢাকায় না থেকে বরং বাড়িতে থেকেই পড়েছি পুরোটা সময়, এতেকরে মেস, বুয়া, বাজার বা টাকা-পয়সার কোন বাড়তি টেনশন কাজ করত না। সামাজিকতা যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেছি। ফেইক ফেইসবুক আইডি ওপেন করলাম গ্রুপে প্রিপারেশন নেয়ার জন্য(এটাই ফেইক আইডি)। অরিজিনাল আইডি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিলাম।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাণের এ গ্রুপটার অবদান ছিল।গত বছরের শেষ ছয়মাস জুড়ে আমার অবসর বলতে মূলত এই গ্রুপটাই ছিল। এই গ্রুপের এডমিন, মডারেটর এবং আরো অনেক পরোপকারী সদস্যদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। এতদিন তেমন কোন পোস্ট না করলেও, এখন থেকে গ্রুপের সাথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।

এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পথচলা। আরো চার বছরের মত সময় হাতে থাকলেও আর হয়তো কোন চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না। জীবনটা অনেক ছোট, ১/২ বছর সময় এই ছোট্ট জীবনের অনেক বড় একটা অংশ। আর কোন সময় আমি হারাতে চাইনা। আর যা পেয়েছি তার জন্য হাজার শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে। সবার জন্য শুভকামনা -

Mohammad Rahim (জাবির)
Senior Officer (Recommended)
Rupali Bank Limited

Featured Posts!
Speciality !
BCS Question
BCS Model Test
Bank Question
Primary Question
NTCRA Question
Subject Review

What We Do !
Inspiration
Guidelines
Suggestions
Study Routine
Free e-Books

Recent Post by Label

Category!